গত ২৬ এপ্রিল রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান হাউজিং , রোড নং-১ ব্লক-সি মোহাম্মদপুর থেকে সিদ্দিক (৩) নামের একটি শিশু নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়,১০ দিনেও উদ্ধার হয়নি শিশু ছিদ্দিক, নিরব ভূমিকা পালন করছে পুলিশ, দ্বাবি ছিদ্দিকের মা-বাবার ।
সিসি টিভি ফুটেজ সূত্রে যানা জায় ঘটনার সময় ৩ বছর বয়সি শিশু ছিদ্দিক আনমনে খেলা করছিলো, তখন একটি অপরিচিত লোক তাকে বিস্কুটের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
মা-বাবা যখন ছিদ্দককে দিকবিদিক খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি তখন মোহাম্মদপুর থানায় গিয়ে একটি সাধারন ডায়রি করে ছিদ্দিকের বাবা দেলোয়ার হেসেন যার নং মোহাম্মদপুর থানা ডায়রি নং-১৯৪১।
এবং এ মর্মে র্যাব-২ – এ ও একটি অভিযোগ করেছেন শিশুর পিতা দেলোয়ার হোসেন।
নিখোঁজ শিশুর বর্ণনায় তিনি বলেন, নাম মোঃ সিদ্দিক, বয়স-০৩ (তিন) বৎসর, উচ্চতা ২ (দুই) ফিট, গায়ের রং ফর্সা, পরনে ছিল সাদা স্যান্ডো গেঞ্জি লাল রংয়ের হাফ প্যান্ট, ডান চোখের ভ্রুতে আঘাতের চিহ্ন আছে। ডান পায়ের উরুতে চারটি কালো দাগ আছে। মুখমন্ডল গোলাকার।
ছিদ্দিকের মা রুমা বেগম জানান, আমরা স্বামী-স্ত্রী মিলে ঢাকা উদ্যানের সি ব্লক এলাকায় একটি টিনশেড বাড়িতে ভাড়া থাকি। আমি বাসা বাড়িতে ঝি এর কাজ করি, আমার স্বামী গাড়ী চালায়। গত বুধবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে আমার ৯ বছরের মেয়ে ও আমার ৩ বছরের ছেলে সিদ্দীকসহ আরও ১০-১৫ জন শিশু বাড়ির সামনে রাস্তায় খেলাধূলা করতেছিলো। তখন একটি লোক এসে সব শিশুদের চকলেট খাওয়ায়। এ সময় আমার ছেলেকে বাজার থেকে আম কিনে দেওয়ার কথা বলে কোলে নিয়ে যায়। তখন আমার মেয়ে তার পিছন পিছন গেলে আমার মেয়েকে বেশ কয়েকবার ধমক দিয়ে সেখান থেকে চলে আসতে বলে। এক পর্যায়ে আমার মেয়ে বাসায় এসে আমাকে বিস্তারিত জানালে আমি দ্রুত আমার ছেলেকে খুঁজতে বের হয়ে যাই। কিন্তু আমার ছেলেকে গিয়ে আর খুঁজে পাই না। এর আগে আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়ে বলতো, আমার সাথে আমার স্বামী না থাকলে আমি তোকেও সুখে থাকতে দিবো না বলে হুমকি দিয়ে যায় বার বার ।
তোর বাচ্চা আমার স্বামীর বুকে কিভাবে ঘুমায় আমি দেখবো। আমার স্বামীর দ্বিতীয় স্ত্রী-ই আমার ছেলকে অপহরণ করেছে বলে অভিযেগ ছিদ্দিকের মা- রুমার।
আশে পাশের বাড়ির লোকেদের সন্দেহের তির সিসি টিভি ফুটেজে সনাক্তকারী লোকটির দিকেই, কারন এর আগে আরও দুই তিন দিন নাকি আমার ছেলেকে অপহরন করা লোকটাকে আমাদের বাড়ীর সামনে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন বলে যানায় ছিদ্দিকের মা- রুমা বেগম।
এ বিষয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক এই প্রতিবেদককে জানান, আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। তদন্তের সার্থে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া মুশকিল, বিষয়টি তদন্তানাধিন আছে, ভাল কোনো ফলাফল হলে আপনাদেরকে জানাবো।
Leave a Reply