বুধবার (২৯মার্চ) সকালের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলার সদর বাজার সংলগ্ন মাখনা পাড়ায় অবস্থিত নরসুন্ধা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব অষ্টমী স্নানে হাজার হাজার পুণ্যার্থী স্নান করার উদ্দেশ্যে নদীতে নামে। নিহত অর্ণব চক্রবর্তী সকাল সাড়ে আটটার দিকে দুই কাকার সঙ্গে স্নান করার উদ্দেশ্যে নদীতে নামার পর দুই কাকা উপরে উঠে এলেও অর্ণব চক্রবর্তী নদীর পানিতে তলিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। খবর পেয়ে ভৈরব ফায়ার সার্ভিস থেকে ডুবুরি দলের একটি ইউনিট বেলা দুইটা ২৫ মিনিটে উদ্ধারকাজে অংশ নেয়। ২০ মিনিট চেষ্টার পর অর্ণব চক্রবর্তী নিথর দেহ নদীর মাঝখান থেকে তুলে আনেন ডুবড়ি দল।
অষ্টমী স্নান ঘাট কমিটির সাধারণ সম্পাদক অজয় বর্মন জানান, সকাল সাড়ে আটটার দিকে আমরা খবর পাই অর্ণব চক্রবর্তী নদীতে ডুবে গেছে। সাথে সাথে আমরা মাইকিং করে আগতপুর নাতিদের সতর্ক করে অর্ণব চক্রবর্তীকে খোঁজার জন্য স্থানীয়ভাবে চেষ্টা চালাই এবং সাথে সাথে উপজেলা ফায়ার সার্ভিসে খবর পাঠাই। উপজেলায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল না থাকায় ভৈরব থেকে ডুবুরি দল আসতে বিলম্বিত হয়। তিনি আরো জানান, শত বছরের ঐতিহ্য এই অষ্টম স্নান ঘাটে অতীতে এরকম কোনো রেকর্ড নেই।
অর্ণব চক্রবর্তীর লাশ উদ্ধারের পর ফায়ার সার্ভিসের লিডার রাশেদ জানান, আমরা ১১টা ৪০ মিনিটে খবর পাওয়ার সাথে সাথেই ডুবুরি দল নিয়ে রওনা হই এবং তাড়াইলে এসে বেলা দুইটা বিশ মিনিটে পৌঁছাই। আনুষাঙ্গিক কাজ সেরে দুইটা ২৫ মিনিটে আমাদের ডুবুরি দল পানিতে নামে এবং ২টা ৪৫ মিনিটে মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে নিহত অর্ণব চক্রবর্তী লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় অর্ণব চক্রবর্তীর মৃতদেহ পিতা-মাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply