ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা-অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কগুলোতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বিপদজনক এসব যান। প্রকাশ্যে হাইওয়ে পুলিশ এবং ট্রাফিক পুলিশের সামনে দিয়ে হরহামেশায় এসব অবৈধ রিকশা, অটোরিকশা চলাচল করলেও তারা কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না বলে দাবী সচেতন মহলের। তাছাড়াও এসব পুলিশ সদস্যদের সাথে সক্রিয় ভাবে কিছু সাংবাদিক জরিত রয়েছে বলেও জানান তারা।
হাইওয়ে থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান ১০/১২ জন সাংবাদিক ও কয়েকজন পুলিশ সদস্যরা মাসোহারার মাধ্যমে এসব অবৈধ অটোরিকশা মহাসড়কে চালাতে সহযোগিতা করছে, অটোরিকশা আটক করা হলে বিভিন্ন সময় তদবির করে থাকেন তারা।
তবে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো রিকশা, অটোরিকশা ধরলেও তা ছেড়ে দিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। আর হাইওয়ে পুলিশ বলছে এদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আটকসহ মামলা করা হচ্ছে।
নিষিদ্ধ এসব ব্যাটারিচালিত রিক্সার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অপরদিকে, ব্যাটারিচালিত রিকশার কারণে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বাড়ছে। বৈদ্যুতিক মোটরচালিত এসব রিকশায় ব্যাটারির চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগও বাড়ছে। যার ফলে ঘটে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শত শত ব্যাটারি চালিত অবৈধ রিকশা-অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করছে। সড়কে এসকল রিকশা অটোরিকশাগুলো জটলা করে মহাসড়ক দখলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের। ট্রাফিকের দায়িত্বরতদের সামনেই এসব ৩ চাকার যান চলাচল এবং দীর্ঘ সময় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
মহাসড়কে ৩ চাকার এসব ব্যাটারি চালিত রিকশা-অটোরিকশা চলাচলের কারণে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে প্রাণহানিসহ আহতের ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই। অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করে অতি কষ্টে দিন যাপন করছেন।
ব্যাটারি চালিত এক অটোরিকশা চালক জানায়, সকাল হলেই রিকশা নিয়ে মহাসড়কে বের হতে হয়। তিনি বলেন, আমিত আর অন্য কোন কাজ জানি না তাই রিকশা নিয়েই বের হতে হয়। মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সে জানায়, সেটা আমরা যারা রিকশা চালাই তারা সকলেই জানি। তবে মাঝে মধ্যে হাইওয়ে পুলিশ ধরে ফেলে।
এ বিষয়ে মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি অংকন কুমার বিশ্বাস বলেন অটোরিকশার বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি, অবৈধ অটোরিকশা আটক করে নিয়মিত মামলা দেওয়া হচ্ছে। ( চলমান থাকবে)
Leave a Reply