1. : admin :
টাঙ্গাইলে দিঘুলীয়াতে নদীর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ, কাটা হয়েছে সেতুর রেলিং - দৈনিক আমার সময়

টাঙ্গাইলে দিঘুলীয়াতে নদীর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ, কাটা হয়েছে সেতুর রেলিং

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
    প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১১ মে, ২০২৩

 

টাঙ্গাইল পৌরএলাকায় দিঘুলীয়া লৌহজং নদীর জায়গা দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে শফিকুল ইসলাম এর বিরুদ্ধে।
এছাড়াও লৌহজং নদীর উপর সেতুর রেলিং কেটে রাস্তা বের করার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে এলাকায় জনগণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। দিঘুলীয়া-সাকরাইল এলাকার মানুষ সেতুর রেলিং কাটার প্রতিবাদ করে বলেছেন, সরকারি সম্পত্তি ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কেউে ক্ষতি করতে পারে না। এটি দুঃখজনক ঘটনা। এবিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
জানাযায় ২০১৬ সালের ১৮ মার্চ এ সেতুর আনুষ্ঠানিকভাবে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন টাঙ্গাইল ৫-আসনের সংসদ সদস্য মো: ছানোয়ার হোসেন । ৩ কোটি ৮০লাখ টাকা ব্যায়ে টাঙ্গাইল পৌরসভা এ উন্নয়ন মূলক কাজ বাস্তবায়ন করেন। সেতুর দু’পাশে সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এস এস পাইপ ধারা রেলিং ও টাইচ দেওয়া হয়। সেই সেতুর পাশে নদীর জায়গা অবৈধভাবে দখল করে পাকা বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন। পরে তিনি সেতুর রেলিং কেটে রাস্তা বের করছেন। এতে স্থানীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
এলাকার সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর সেলিনা আক্তার বলেন,সেতুর রেলিং কাটার বিষয়টি আমি জানি না। তবে যদি রেলিং কেটে থাকে তাহলে দুঃখজনক ঘটনা। এ সরকারি সম্পত্তি ক্ষতি করার কারও অধিকার নেই।
জেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মঈনুল হোসেন লিন্টু বলেন, সেতুর দু’পাশে রেলিং দেওয়া হয় দূর্ঘটনা প্রতিরোধের জন্য আর সেই রেলিং যদি কাটা হয়, তাহলে এটি দু”খজনক। সে বাসা তৈরি করছে তাও নদীর জায়গা দখল করে।
শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ রৌফ বলেন, সেতুর রেলিং কাটা কোন মতে উচিত হয়নি। এটি সরকারি সম্পত্তি। জনগণের চলার জন্য কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে নিমার্ণ করা হয়েছে।
শহীদ মিজানুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আনোয়ার হোসেন খান বলেন, সেতুর রেলিং কাটা এটি দুঃখজনক ঘটনা। এতে সেতুর সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে গেছে। এটি এলাকার সম্পদ।
এলাকার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মো: মোশারফ হোসেন, বিশিষ্ট ঠিকাদার কাজী জাবির, চিকিৎসক আমির হোসেন, ঠিকাদার সুমন খান, রাম কর্মকার, সাকরাইলের শ্রমিক নেতা মিজানুর রহমান বলেন, সেতুর রেলিং কাটার ঘটনা দঃখজনক।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারি সম্পত্তি এভাবে কাটার কোন বিধান নেই। এবিষয়ে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
শফিকুল ইসলাম বলেন, কোন নদীর জায়গা দখল করেনি। মালিকানা জায়গায় ভবন তৈরি করছি। মেয়রের অনুমোতি নিয়ে রেলিং কাটা হয়েছে।
এবিষয়ে পৌরসভার মেয়র এস এম সিরাজুল হক আলমগীর বলেন, বিষয়টি জানা নেউ। খোজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com