টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে দুই শিশু ও মাসহ তিনজনকে হত্যার ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রবিবার নিহত মনিরার মা আবেদা বেগম নিহত মনিরার স্বামী সাহেদকে প্রধান আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত আরো তিনজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে দুপুরে নিহতের লাশ টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছে পুলিশ। পরে তাদের লাশ দাফন করা হয়। এদিকে নিহতের স্বামী সাহেদ মিয়াকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলছে। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলেই মূল রহস্য উদঘাটন করা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন, উপজেলার দেউলি ইউনিয়নের চকতৈল পূর্বপাড়া গ্রামের সাহেদ মিয়ার স্ত্রী মনিরা বেগম (৩০) এবং তাদের দুই শিশু সন্তান মাশরাফি (২) ও মুশফিক (৮)।
প্রতিবেশীরা বলেন, ঘটনার পর মনিরার স্বামী সাহেদ প্রচার করে মনিরা দুই সন্তানকে হত্যা করে আত্মহত্যা করেছে। এরপর পালিয়ে যায় সাহেদ।
স্থানীয়রা বলেন, সাহেদ মাদকাসক্ত ছিল। বিক্রি করত মাদক দ্রব্য। তার কারণে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা বিপথগামী হচ্ছিল। সে গ্রামে চুরি করত। তাকে নিয়ে গ্রামে একাধিকবার সালিশী বৈঠক হয়েছে। সে মাঝে মধ্যেই স্ত্রীকে মারধর করত।দেলদুয়ার থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, এ ঘটনার পর বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যাকাণ্ড। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ঘটনায় নিহত মনিরা বেগমের মা আবেদা বেগম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। আমরা মনিরার স্বামী সাহেদকে গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছি। তাকে গ্রেপ্তার করা গেলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
উল্লেখ্য, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের চকতৈল পূর্বপাড়া গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত মাসহ দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
Leave a Reply