আজ সোমবার সকালে শুরু হয় মহানবমী বিহিত পূজা।
হিন্দু শাস্ত্রমতে মহা নবমী বা দুর্গা নবমী হল আসুরিক শক্তি বধে বিজয়ের দিন। শ্রী শ্রী চণ্ডী থেকে জানা যায়, দুর্গা রুদ্ররূপ (মা কালী) ধারণ করে মহিষাসুর এবং তাঁর তিন যোদ্ধা চণ্ড, মুণ্ড এবং রক্তবিজকে হত্যা করেন।
নবমী তিথি শুরুই হয় সন্ধিপুজো দিয়ে। মহানবমীর দিন হচ্ছে দেবী দুর্গাকে প্রাণভরে দেখে নেওয়ার ক্ষণ, মহাঅষ্টমীতে মাকে চুক্ষ দানের পর থেকে মা আমাদের সবাইকে দেখেন। অগ্নি সব দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এদিনই দুর্গাপূজার অন্তিম দিন। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব হয় বলে জানিয়েছেন উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটি সভাপতি, কার্তিক সেন ও সাধারণ সম্পাদক, ননী গোপাল ঘোষসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
নবমী নিশীথে উৎসবের রাত শেষ, নবমী রাত তাই বিদায়ের অমোঘ পরোয়ানা নিয়ে হাজির হয়। এসব বিবেচনা করে অনেকেই মনে করেন, নবমীর দিন আধ্যাত্মিকতার চেয়েও অনেক বেশি লোকায়ত ভাবনায় ভাবিত থাকে মন।
মহানবমী পূজা ও সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটি সভাপতি, কার্তিক সেন ও সাধারণ সম্পাদক, ননী গোপাল ঘোষ বলেন,উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটির ব্যানারে উত্তরাতে এটা হলো এবারের মত ১৫ তম আয়োজন। আমাদের এই মহা আয়োজনে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ সবাই অসাম্প্রদায়িকতার ভিত্তিতে মানবিকতার ভিত্তিতে অংশগ্রহণ করে এবং আমাদের অনুষ্ঠানকে সাফল্যমন্ডিত করছে।
প্রত্যেক টা দিনে আমাদের জমজমাট আয়োজন থাকে। সকাল থেকে আমাদের মায়ের পূজা শুরু হয়,এরপরে থাকে প্রসাদ বিতরণ।
সন্ধ্যাবেলায় থাকে মায়ের পূজা, আরোতি প্রতিযোগিতা এবং তারপরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রত্যেকদিনই এইরকম ভাবে আমাদের অনুষ্ঠান থাকে। আমাদের উত্তরা সার্বজনীন পূজা কমিটির বিশেষত্ব হলো এই যায়গায়
যত ভক্ত বৃন্দ আসে সবাই আমাদের এখান থেকে প্রসাদ গ্রহণ করে, এখান থেকে কেউ প্রসাদ গ্রহণ ছাড়া যায়না।আমরা সবার আরো অংশগ্রহণ এবং সার্বিকভাবে আরো সফলতা অর্জন করে এবং সবার সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি। আমাদের এত বড় এই আয়োজনে কোনো ভুল ত্রুটি থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখার জন্য সবার কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
Leave a Reply