আসামীদের সাথে ভিকটিমের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখ আসামী সিরাজ শেখ ও তার ছেলে হাচান শেখসহ সহযোগীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিমের বাড়িতে প্রবেশ করে ভিকটিম মোঃ মফিজুর রহমান(৪৫) কে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। তখন ভিকটিমের সাত মাসের অন্তঃস্ত্ত্বা স্ত্রী এগিয়ে আসলে আসামীরা তাকেও মারধর করে। স্থানীয় লোকজন ভিকটিম মোঃ মফিজুর রহমান ও তার স্ত্রীকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে। ভিকটিম মোঃ মফিজুর রহমানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ০৫ মে ২০২৩ তারিখ ভিকটিম মফিজুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘৃণ্য হত্যাকান্ডটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। হত্যাকান্ডের বিষয়ে জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনা ও র্যাব-৪ এর একটি যৌথ চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর গেন্ডারিয়া এবং মিরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ১৯ মে ২০২৩ তারিখ উক্ত হত্যা মামলার প্রধান পলাতক আসামী ১। সিরাজ শেখ (৫৫), ২। মোঃ হাচান শেখ(২২), উভয় থানা-কাশিয়ানী, জেলা-গোপালগঞ্জদ্বয়কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানায় হস্তান্তরের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply