1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
গাজীপুরে মেটে মাথা কুড়া ঈগল উদ্ধার, সাফারি পার্কে হস্তান্তর - দৈনিক আমার সময়

গাজীপুরে মেটে মাথা কুড়া ঈগল উদ্ধার, সাফারি পার্কে হস্তান্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক
    প্রকাশিত : শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
গাজীপুর সদর উপজেলায় আহত একটি মেটে মাথা কুড়া ঈগল উদ্ধার করে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
গত কাল বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার মেম্বার বাড়ি এলাকা থেকে আহত অবস্থায় ঈগলটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মেম্বার বাড়ি এলাকায় একটি আহত ঈগল কৃষি খেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোক জন বন বিভাগের কর্মকর্তাদের খবর দেয়। পরে খবর পেয়ে ভাওয়াল রেঞ্জের ভবানীপুর বিট কর্মকর্তারা ঈগলটিকে উদ্ধার করে ভাওয়াল রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যায়। পরে ঈগলটি চিকিৎসার জন্য অসুস্থ অবস্থায় শুক্রবার গাজীপুর বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে হস্তান্তর করা হয়।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ ঢাকা বিভাগের ভাওয়াল রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদ রানা জানান, স্থানীয়রা আহত অবস্থায় একটি ঈগল পড়ে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেয়। পরে মেম্বার বাড়ি এলাকা থেকে উদ্ধার করে অফিসে নিয়ে আসা হয়। এসময় মেটে মাথা কুড়া ঈগলটির ডানায় একটি আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে কৃষি জমিতে খাবার খাওয়ার সময় মাছ ধরার জালে আটকে যায়। এতে ঈগলটি ডানায় আঘাত পেয়ে আহত হয়।
তিনি আরোও জানান, ঈগলটির পায়ে একটি রিং রয়েছে। মূলত যারা লাইসেন্স নিয়ে বন্যপ্রাণী লালন-পালন করে সে সমস্ত ঈগলের পায়ে এ ধরনের রিং থাকে। তবে এটি কোথাও থেকে ছুটে এসেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে। ঈগলটি আহত হওয়ার কারনে নিবিড় পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা জন্য
শুক্রবার সকালে সাফারি পার্কে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, মেটে মাথা কুড়া ঈগলের (Grey headed Fish Eagle) বা মেছো ঈগল সুন্দরবন ও উপকূল অঞ্চলেও সীমিত পরিসরে এদেরকে দেখা যায়। সাধারণত মিঠা পানির জলাধারের আশেপাশে এরা জোড়া ধরে বাস করে। বছরের পর বছর একই গাছে বাসা বাঁধে। পাখিটি অত্যন্ত দক্ষ শিকারি; প্রধানত মাছ খায়, তবে সাপ, ছোট পাখি, খরগোশও এর খাদ্য তালিকায় রয়েছে।
বার্ড লাইফ ইন্টারন্যাশনালের ২০১৪ সালের এর জরিপ অনুযায়ী সারা বিশ্বে এদের সংখ্যা মাত্র ১৫ হাজার থেকে দেড় লাখের মধ্যে। তবে বাংলাদেশে এর প্রকৃত সংখ্যা এখনও অজানা। আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) ২০১৫ সালের ‘রেড লিস্ট’ অনুযায়ী প্রজাতিটি সারাবিশ্বসহ বাংলাদেশেও প্রায় সংকটাপন্ন। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন-২০১২ অনুযায়ী প্রজাতিটি সংরক্ষিত। তাই এটি শিকার, হত্যা বা এর কোনো ক্ষতি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com