ঝিনাইদহ ৪ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে টানা ৩ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আনোয়ারুল আজিম আনার। দীর্ঘ এই সময়ে এলাকায় বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য তার সুনাম রয়েছে। এলাকায় কেউ মরা গেলে তিনি তার বড়িতে যাওয়ার চেষ্টা করতেন এবং শোকার্ত পরিবারকে সান্তনা দিতেন। এমনকি নিজে অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছেও দিয়েছেন তিনি। যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে হাইওয়ে থানা, পুলিশ বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে যায়। তবে তিনি মোটর সাইকেলে চড়ার কারণে সবার আগেই ঘটনাস্থলে পৌঁছাই।
মহাসড়কে একটি যাত্রিবাহি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসের সব যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাৎক্ষণিক লোকজন নিয়ে তিনি সবাইকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তবে বেশির ভাগ গুরুতর আহত হওয়ার চিকিৎসকরা যশোর সদর হাসপাতলে রেফার্ড করেন।
হাসপাতালে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আছে কিন্তু ওই মুহূর্তে চালক ছিল না। এদিকে গুরুতর আহত যাত্রীরা মৃত্যুযন্ত্রণায় ছটফট করছিলেন। তখন এমপি আনার নিজেই অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে আহতদের যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম এবং তাৎক্ষণিক ডাক্তার চিকিৎসা সেবা দেওয়ার কারণে তারা সুস্থ হয়ে উঠেন।
অপরদিকে কালীগঞ্জের ভিটেখোলা নামক একটি জায়গার এক বাসিন্দা ঢাকায় মারা গিয়েছিলেন। তখন বর্ষা মৌসুম ছিল। মৃত ব্যক্তির বাড়ি যাওয়ার পথে একটি কাঁচা রাস্তা ছিল। যখন মরদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স ঢাকা থেকে এসেছে তখন চ্রালক পাকা সড়ক থেকে আর কাঁচা সড়কে যাবে না। তার ভয় ছিল, কাঁচা রাস্তায় গর্ত আছে কিনা, গাড়ি আটকে যায় কিনা।
তখন সে অ্যাম্বুলেন্সের স্টার্ট বন্ধ করে চাবি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সে ময় এমপি আনার মোটর সাইকেল চালিয়ে জানাজার উদ্দেশে যাচ্ছিলাম। যাওয়ার পথেই দেখতে পান মৃত ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে চালকের তুমুল ঝগড়া। তিনি অ্যাম্বুলেন্সের চালকের নিকট থেকে চাবিটা নিয়ে নিজেই অ্যাম্বুলেন্স চালিয়ে কাঁদা সড়কে দিয়ে মরদেহ পৌঁছে দিয়েছিলাম। এমনট অস্যখ্য প্রমান রয়েছে নানা কাজের।
Leave a Reply