কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে বন্য শুকর শিকার করতে এসে শিকার হয়ে গেলেন এক উপজাতি। ভাগ্যক্রমে অন্য ২ জন বেঁচে গেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ১৭ মে গভীর রাতে।
প্রাপ্ত তথ্যে প্রকাশ, তিনজন উপজাতী বুধবার রাতে বনাঞ্চলে বন্য শুকর শিকার করতে যান। একপর্যায়ে তারা ঈদগাঁও ইউনিয়নের কালিরছড়া শিয়া পাড়া বড়কাটা সংলগ্ন ধানক্ষেতে জালপাতে।
অথচ বন্য পশু থেকে ওই ধানক্ষেত রক্ষায় মালিক আগেই তাতে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে রেখেছিল।
এতে শুকর শিকারিদের একজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়ে। মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত মন জন (৫৭) পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাপের গারার মৃত চীন পং মার্মার পুত্র। এ সময় তার দুই সহযোগী কৌশলে আত্মরক্ষার্থে পালিয়ে যায়।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, খবর পেয়ে তিনি রাত আড়াইটার দিকে থানার এসআই শফিক ও সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থল উত্তর কুরুচ ধুইলল্যা ঘোনায় যান। ঘোনাটি উত্তর বিভাগীয় বন রেঞ্জের আওতাধীন এলাকা সংলগ্ন। মৃতদেহে উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নিয়ে আসি। পরে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করি।
তিনি আরো জানান, জীবজন্তু হত্যা আইনেধানক্ষেতের মালিক দেলোয়ারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সে স্থানীয় বাসিন্দা।
একই থানার সাব- ইন্সপেক্টর মহি উদ্দিন জানান, বন্য শুকর শিকার করতে আসা শিকারীরা অসচেতনভাবে উক্ত ধান্য জমিতে জাল পেতেছিল। সম্ভবত তারা পেশাদার শিকারি ছিল না। তাই বিদ্যুৎ বিদ্যুতায়িতের মতো ঘটনা ঘটেছে।
এ থানার এসআই শফিক জানান, নিহত উপজাতির অনেক স্বজন তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। লাশের সুরত হাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বনবিভাগ মেহের ঘোনার বন রেঞ্জ কর্মকর্তা রিয়াজ রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় তার প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ নুরুল হাকিমও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
Leave a Reply