পর্ব-১……….
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া যাদুকাটা নদীর বালু মহাল নিয়ে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে সিন্ডিকেট ও স্থানীয় রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে।
যাদুকাটা নদী একটি সীমান্ত নদী। এ নদী ভারতের খাসিয়া জৈন্তা পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীতে দু‘টি বালু মহাল রয়েছে যা যাদুকাটা-১ এবং যাদুকাটা-২ বালু মহাল নামে পরিচিত। যাদুকাটা-১ বালু মহালটি তাহিরপুর উপজেলার চালিয়ার ঘাট মৌজায় এবং যাদুকাটা-২ বালু মহালটি বিশ্বম্ভরপুর ও তাহিরপুর মৌজার চালিয়ারঘাট, লাউর এবং ইকরাটিয়া মৌজায় অবস্থিত।
জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র জানায়, এই দুটি বৃহৎ বালু মহালে গেল বছরের ইজারামূল্য ছিল ৫৪ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এই বছর (১৪৩১ বাংলায়) ইজারামূল্য উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি টাকা।
এ-ই বালু মহালের মূল্য পতনের কারন অনুসন্ধানে পাওয়া যায় সিন্ডিকেট ও স্থানীয় রাঘব বোয়ালদের সম্পৃক্ততা।
যাদুকাটা নদীর বালু মহাল ইজারার সিন্ডিকেটের মূল হোতা সোহাগ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক রতন মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যগন এবং স্থানীয় রাঘববোয়ালদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন সোহাগ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক রতন মিয়ার সহোদর বড় ভাই কাঞ্চন মিয়া নিজ মুখে। তিনি বর্ণনা দেন কিভাবে ১৪৩০ বাংলা বছরের চেয়ে ১৪৩১ বাংলা বছরে ইজারার মূল্য কমানো হয়। এবং ১৪৩০ বাংলা বছরে ভ্যাট সহ ৭২ কোটি টাকার ইজারায় তাদের ২০০ কোটি টাকা লাভ হয়েছে।
সুনামগঞ্জ ১ আসনের সাংসদ রণজিত চন্দ্র সরকার এর সাথে তার সরকারী বাস ভবনে সাক্ষাৎ করে বালু মহালের দরপতনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রতিবেদককে বলেন, আমি নতুন এমপি হয়েছি, আমার প্রতিপক্ষ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে কুৎসা রটাচ্ছে। আপনি প্রয়োজনে এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুন আমি কোন প্রকৃতির লোক।
যাদুকাটা বালুমহাল ইজারাদার সিন্ডিকেটের যোগসাজশে ইজারার মূল্য গত বছরের চেয়ে কম হওয়ার কারণ জানতে সোহাগ এন্টারপ্রাইজ এর মালিক রতন মিয়ার সাথে কথা বলতে তাঁর অফিসে গেলে জানতে পারা যায় তিনি ওমরাহ পালনের জন্য বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন।
Leave a Reply