1. : admin :
ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি : তথ্যমন্ত্রী - দৈনিক আমার সময়

ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি : তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক
    প্রকাশিত : রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাজেট নিয়ে যে ‘পেশাদার সমালোচক’রা বলেন যে তারা অনেক গবেষণা করেন, বাজেটের ঘাটতিকে বড় করে দেখান, তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি— আমাদের দেশে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে জিডিপির অনুপাতে ঘাটতি ৫ দশমিক ২ শতাংশ আর ভারতের ক্ষেত্রে এ ঘাটতি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ, যুক্তরাষ্ট্রে ৬ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ভারত, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বাংলাদেশের চেয়ে বেশি। শুধু তাই নয় পৃথিবীর একশ’রও বেশি দেশের বাজেটেই ঘাটতি থাকে।  
 
রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালেই মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আর আমাদের ‘রাজনৈতিক সমালোচক’রা তো বাজেট না পড়েই বক্তব্য দিয়েছেন। আসলে এ বাজেট জনবান্ধব, গরিববান্ধব। কারণ বাজেটে সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি উপকারভোগী, ভাতাধারীর সংখ্যা এবং ভাতার পরিমান বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে এবং সরাসরি ২ কোটি মানুষ সরকারের কাছ থেকে নানাভাবে অর্থসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবে। যারা পাবে তারা সবাই দরিদ্র। তাহলে কি এটি গরিববান্ধব বাজেট নয়!’ 
 
সাংবাদিকরা এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, আমেরিকা না গেলে কিছু আসে যায় না, পৃথিবীতে অনেক মহাদেশ আছে —এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নতুন ভিসা নীতি ঘোষণার পর যারা যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিয়ে টেনশনে আছে, তাদের টেনশন কমানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেছেন। আমাদের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা সেই সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ করতে চাই এবং সে কারণে আপনারা দেখেছেন যে, সরকার পররাষ্ট্র এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে অনেক ইতিবাচক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। একই সাথে অন্যান্য দেশ-মহাদেশ যেমন, দক্ষিণ আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্যের আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে এবং ওশানিয়া অঞ্চলে বাণিজ্যের প্রচুর সম্ভাবনাময় এলাকায় আমরা বাণিজ্য বাড়াতে চাই। প্রধানমন্ত্রী সে কথাই বলেছেন।’
 
সরকার বাধ্যতামূলক কর আরোপ করছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘বাধ্যতামূলক কর দিতে হবে এটা সঠিক নয়। যাদের টিন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার) সার্টিফিকেট আছে কিন্তু ট্যাক্স ফাইল করে না, তাদের ২ হাজার টাকা ফি দিয়ে ট্যাক্স ফাইল করার কথা বলা হয়েছে।’ 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com