মোঃ আব্দুল পেশায় একজন দিন মজুর। শারীরিক অসুস্থতার কারণে দীর্ঘ ২ বছর যাবৎ কাজ করতে পারতেছে না। কোন রকম ধারদেনা করে চলছে সংসার। গত ২৫ অক্টোবর (বুধবার) সন্ধ্যায় ৭টার দিকে বন্যহাতির পাল বৈরাগ ইউনিয়নের গুয়াপঞ্চক গ্রামে মোহাম্মদ উল্লাহ পাড়ায় তান্ডব চালিয়ে ঘরের দেওয়াল ও আসবাবপত্র (আলমারি, ফ্রিজ ও চাউলসহ অন্যান্য আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেন।
ভুক্তভোগী আব্দুল জানান, বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ এবং ধারদেনা করে কয়েক মাস আগে মেয়ে বিয়ে দিয়েছি।যার ঋণের বোঝা এখনো মাথায় নিয়ে আছি। তার মাঝে বন্যহাতি আমার বসতবাড়িতে তান্ডব চালিয়ে আমার কষ্টে গড়া ঘরের দেওয়াল এবং আসবাবপত্র ভাংচুর করেছে।
যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’। আমি এখন নিরুপায়। কি করবো বুঝতেছি না। স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন্যহাতির পালের আক্রমণ থেকে অল্পের জন্য আমরা স্বপরিবার রক্ষা পেয়েছি। বন্যহাতির তান্ডবে আমার এক লক্ষ টাকা বেশি ক্ষতি হয়েছে।
তিনি আরো জানান, আমার এমন করুন পরিস্থিতিতে কেউ পাশে দাঁড়ায়নি। ক্ষতিপূরণ পাওয়ার আশার গত ২৬ অক্টোবর ইং বৃহস্পতিবার বন্যহাতি বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করলে এখনো পযর্ন্ত কোন পুলিশ সদস্য আসেনি। আমার ভাঙ্গা ঘর নিয়ে বড় বিপদে আছি। একদিকে বন্যহাতি অন্যহাতি চুরের জন্য আতংকিত । পুলিশের তদন্ত ছাড়া নাকি ঘরের কাজ করা যাবে না।আমি অসুস্থ মানুষ অনেক কষ্ট করে আনোয়ারা থানায় গিয়ে যোগাযোগ করছি।ওনারা বলতেছে রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ি যোগাযোগ করার জন্য। সেখান যোগাযোগ করার পড়ে।পুলিশ সদস্যরা জানান বন্যহাতি নিয়ে আমাদের কাছে থানা থেকে কোন অভিযোগ পত্র আসেনি, থানায় যোগাযোগ করুন।
স্থানীয়রা জানা যায়, বন্যহাতিগুলো দিনের বেলা কোরিয়ান ইপিজেড এলাকায় দেয়াং পাহাড়ের অবস্থান নেই। রাতে বেলা দেয়াং পাহাড় থেকে লোকালয় এসে তান্ডব চালায়।
বন্যহাতি বিষয়ের জানতে চাইলে বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী জানান,বন্যহাতি গুলো অনেক দিনের সমস্যা। বন্যহাতি বিষয়ে আমাদের ইউএনও এবং মন্ত্রী মহোদয়কে জানানো হয়েছে।
বন্যহাতি অভিযোগ বিষয়ের জানতে চাইলে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ বলেন,বন্যহাতিগুলো কি আমরা এখন গিয়ে ধরে ফেলতে হবে।প্রতিবেদক জানান, হাতিগুলো ধরতে হবে না। তবে অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলেও হবে। তখন তিনি জানান অভিযোগটি কার কাছে আছে। জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ( ইউএনও) ইশতিয়াক ইমন জানান, বন্যহাতির আক্রামণে ক্ষতি হলে আবেদন করলে।সরকারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বন্যহাতি গুলো সরানো কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা হাতিগুলো বিষয় নিয়ে রেঞ্জ কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে।
Leave a Reply