নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের রাজাপুর বাজারে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও চুরি নাশকতার পরিকল্পনা ঠেকাতে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে। প্রথম ধাপে বাজারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসানো হচ্ছে প্রায় ৯টি ক্যামেরা। এতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই নাশকতার পরিকল্পনা নিয়ন্ত্রণ হবে বলে আশাবাদ জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। দীর্ঘদিন ধরেই রাজাপুর বাজারে নিরাপত্তার জন্য ব্যবসায়ীদের সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য উৎসাহ দিয়ে ছিলেন গোপালপুর ইউনিয়নের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে থাকা বিট অফিসার এস আই সত্যব্রত সরকার, তাই সবার সহযোগিতায় নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তাসহ সবার জানমালের নিরাপত্তা কথা চিন্তা করে এই সিসি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। রাজাপুর বাজার কমিটির কোষাধ্যক্ষ মোঃ মাহমুদুল হাসান পিয়াস বলেন সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য বড়াইগ্রাম থানা পুলিশ এই সিসি ক্যামেরা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করার কারণে অপরাধীরা অপরাধ করে পালিয়ে যেতে আর পারবেনা।এ বিষয়ে এস আই সত্যব্রত সরকার বলেন রাজাপুর বাজার টি নাটোর জেলার এবং পাবনার জেলার সীমান্তে হওয়ায় অপরাধীরা বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে সহজেই পালিয়ে যেত কিন্তু এখন সিসি ক্যামেরা বসানোর কারণে অপরাধীকে সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব হবে,তিনি আরও বলেন রাজাপুর বাজারটা এখন পুরোটা সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণাধীন এবং এখানে একটি কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে সেখান থেকে সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করা হয় দিনরাত ২৪ ঘন্টা। এটা আমরা এবং বাজার কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় সফলভাবে সম্পন্ন করেছি।এ জন্য আমরা রাজাপুর বাজার কমিটির উপর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শাফিউল আযম খান বলেন,এই সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে রাজাপুর বাজার এলাকায় কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হলে পুলিশ সহজেই অপরাধীদের খুঁজে বের করতে পারবে। সেই সাথে ডিজিটাল মনিটরিং এর মাধ্যমে মহাসড়কে ডাকাতি রোধ, এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।রাজাপুর বাজার কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান বলেন,দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের দাবী ছিল সিসি ক্যামেরা বসানোর তাই বাজার কমিটির সবার সহযোগিতায় প্রাথমিকভাবে ৯টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ হয়েছে যার কারনে বাজারের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আইনখৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারির মধ্যে থাকবে। আর এতে চুরি ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ অনেকটাই কমে আসবে।
Leave a Reply