এঘটনায় বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায়দ এটি লিখিত অভিযোগ করেছেন সাবেক এমপির স্ত্রী আলহাজ্ব লায়ন মিনা মালেক। এর আগে শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিনে অভিযুক্তরা কাউকে কিছু না বলেই ১৯টি গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়।
অভিযুক্তরা হলেন, কুশুরা ইউনিয়নের নরসিংহপুর এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে আলমগীর হোসেন (৪৫) ও বৈন্যা এলাকার আব্দুল হালিম (৪০)।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের পশ্চিম নরসিংহপুর মৌজায় ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম এম মালেকের পৈত্রিক সূত্রে ১০০ শতাংশ এবং মোঃ বারেক মিয়ার নামে ২৬ শতাংশ জমিতে গাছ লাগানো ছিলো। শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) দিনে অভিযুক্তরা কাউকে কিছু না বলেই ১৯টি গাছ কেটে নিয়ে বিক্রি করে দেয়। এতে আনুমানিক প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতিসহ পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় বড় ধরনের ক্ষতি সাধন হয়।। বিষয়টি জানার পর ঘটনার দিন সকালেই আঃ বারেক এর স্ত্রী অভিযুক্তদের কাছে গিয়ে গাছ কাটার কারন জানতে চাইলে আঃ বারেকের স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং উক্ত বিষয় নিয়া বাড়াবাড়ি করিলে পরিনাম খারাপ হইবে বলে হুমকি প্রদান করে অভিযোগকারীরা।
অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গাছ গুলো ৭ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে। ওই জাগায় আমরাই লেবুসহ বড় গাছ লাগাই। দীর্ঘদিন ধরে আমরাই এই জমিতে কাজকর্ম করে আসছি। এটা আমাদেরই জমি।
এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব এম এ মালিকের স্ত্রী আলহাজ্ব লায়ন মিনা মালেক বলেন, আমি ঘটনা জানার পরই ওখানে গিয়ে দেখি ১৮/১৯ টি গাছ কেটে নিয়ে গেছে। আমি গিয়ে ওদের পাই নাই। কেনো বা কার জুড়ে ওরা আমাদের জমির গাছ কেটে নিলো এটা ওরাই ভালো বলতে পারবে। ওরা তো এখানকার স্থানীয় বাসিন্দাও না। নানির বাড়ির জমিতে ঘর তুলে আছে। আমাদের জমিসহ আরেক জনের জমির গাছও কেটে নিয়ে গেছে। প্রশাসন এর সুষ্ঠু আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এটাই আশা করছি।
ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জব্বার বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply