ঢাকার ধামরাইয়ে গ্যাস সংকটের কারণে ঠিকমতো জ্বলছে না রান্নার চুলা। কবে ঠিক হবে এ সমস্যা তা নিয়েও চলছে গ্রাহকদের মধ্যে আলোচনা। ভোর ৪ টার পর থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত গ্যাস একেবারেই থাকে না। নিবু নিবু ভাবে চুলা জ্বলছ। তাতে রান্নার কোন কাজেই আসছে না। অনেকে রান্নার বিকল্প হিসেবে সিলিন্ডার গ্যাসের ব্যবস্থা করেছেন। এছাড়া স্বল্প আয়ের মানুষ লাকড়ি দিয়ে রান্নার ব্যবস্থা করছেন।
ডিষ্ট্রিক রেগুলেটরিং ষ্টেশন ধামরাই গ্যাস অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে গ্যাসের সংকট দেখা যায়। গ্যাসের চাপ ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং বর্তমানে তা ভয়াবহ সংকট আকারে দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১৫ জানুয়ারী) সকাল ৯ টার সময় ধামরাই গ্যাস অফিসে গিয়ে দেখা যায়, ইনলেট এ যেখানে ১৫০ পি এস আই গ্যাসের চাপ থাকার কথা কিন্তু সেখানে গ্যাসের চাপ রয়েছে ৬ পিএস আই এবং আউটলেট এ গ্যাসের চাপ থাকার কথা ৫০ পিএসআই কিন্তু সেখানে রয়েছে ২ পি এস আই। গ্যাসের ওই চাপে রান্নার কোন কাজেই আসছে না। নিবু নিবু ভাবে চলছে জ্বলছে চুলা।
(১৫ জানুয়ারি) সকালে পৌরসভার নতুন দক্ষিণ পাড়া মহল্লার রায়হান, কবির, নিলুফা নামে কয়েকজন চাকুরী জীবি বলেন, ভোর রাত ৪ টার পর থেকে কোন গ্যাসের চাপ নেই। যাও আছে তা দিয়ে রান্না করা সম্ভব হয়ে উঠে না। মাঝে মধ্যেই গ্যাসের সংকট হয়ে থাকে।
ইন্জিনিয়ার সুলতান আহমদ বলেন, আমার বাসায় গত ৪ দিন ধরে লাকড়ি দিয়ে রান্না চলছে। ভাড়াটিয়া সবাই সিলিন্ডার কিনে রান্নার ব্যবস্থা করতে পারে না। কারণ আয়ের স্বল্পতার কারণে। তাই লাকড়ি দিয়েই রান্না চলছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমার বাসায় ১১ জন সদস্য রয়েছে। গ্যাসের চাপ না থাকায় দুই দিন ধরে লাকড়ি দিয়ে রান্নার কাজ করছি। বাসার ভাড়াটিয়া রয়েছে তাদের নিয়ে আরো বিপাকে পড়েছি। ভাত রান্নার জন্য গতকাল রাতে রাইস কোকার কিনেছি। তাছাড়া অন্য কোন বিকল্প পথ নাই।
ধামরাই অফিসের সিনিয়র টেকনিশিয়ান মো. রুহুল আমিন বলেন, গত মাসের ২৭ ডিসেম্বর থেকে গ্যাসের সংকট শুরু হয়েছে। এখন সংকট তীব্রতা অনেকটাই বেশি। কতদিন এই সংকট চলবে তা বলা মুশকিল। গ্যাসের চাপ সেখানে ১৫০ পিএস আই থাকার কথা সেখানে আজ সোমবার সকালে রয়েছে ৬ পিএস আই এবং আউটলেট এ ৫০ পিএস আই থাকার কথা সেখানে রয়েছে ২ পিএস আই। তাই সংকট চরমে। গ্যাস সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply