1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
দোহারে সালিসে প্রতিপক্ষকে’ মারার অফিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে - দৈনিক আমার সময়

দোহারে সালিসে প্রতিপক্ষকে’ মারার অফিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

মাকসুমুল মুকিম, দোহার-নবাবগন্জ (ঢাকা)
    প্রকাশিত : সোমবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪
ঢাকার দোহার উপজেলায় দোহারে থানার ভেতরে সালিস বসালো দোহার থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মিন্টু লস্কর আর বিচার কার্যলয়েই পুলিশের উপস্থিতে প্রতিপক্ষকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দোহার উপজেলার রাইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে দোহার থানার আঙ্গিনায় এই বিচার কার্যক্রম। দাম্পত্ব কলহ (বিবাহ বিচ্ছেদ) সংক্রান্ত সালিশি বৈঠকে মারামারির ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। 
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে দোহার থানা আঙ্গিনায় উপজেলার ইউসুফপুর গ্রামের একটি মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত সালিসের বৈঠক বসে। এর তত্ত্বাবধানে ছিলেন দোহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিন্টু লস্কর। বৈঠকে মেয়ে ও ছেলে পক্ষের দেনা-পাওনার ব্যাপারে কথা হয়। রাইপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন ছেলে পক্ষের অবস্থান নিয়ে মেয়ে পক্ষকে কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে আপত্তি জানালে কথা-কাটাকাটির হয়। এর এক পর্যায়ে ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন চড়াও হয়ে মেয়ে পিতা ও চাচাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকেন। এসময় সেখানের উপস্থিত ছিলেন দোহার থানার উপরির্দশক (এসআই) মিন্টু লস্কর ও পাশ্ববর্তী নবাবগঞ্জ উপজেলার বাহ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. সাফিল উদ্দিন মিয়াসহ আরও অনেকে। পরে মারামারির শব্দ শুনে দোহার থানার উপরির্দশক (ওসি তদন্ত) আজাহারুল ইসলাম তার কক্ষ  থেকে বের হয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
 ঐ মেয়ের বাবা অভিযোগ করে বলেন, তারা পেশিশক্তি খাটিয়ে আমাদের মেরে আহত করলো। পুলিশের ভরসায়ই আমরা থানায় এসেছিলাম কিন্তু পুলিশের সামনেই তারা আমাদের মারধর করলো।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে রাইপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, আমি অন্য একটি কাজে থানায় গিয়েছিলাম। তখন তারাই আমাকে ডেকে নিয়ে আমাকে সালিসেতে বসিয়েছে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে সাথে সাথে আমরা সমাধান করে দেই। আমি কাউকে মারধর করেনি, এটা একটা অপপ্রচার।
এবিষয়ে দোহার থানার উপরির্দশক (এসআই) মিন্টু লস্কর বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে চাই না।
দোহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন-অর-রশিদের কাছে জানতে চাইলে তিনি  বলেন, বাদী বিবাদীদের মধ্যে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিলো তারা পরে বুকে বুকে মিলে গেছে। এ বিষয়ে কারো কোন অভিযোগ নাই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com