1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
টেকনাফে পুলিশের অভিযানে মানব পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার, শিশুসহ ৫৮ ভিকটিম উদ্ধার - দৈনিক আমার সময়

টেকনাফে পুলিশের অভিযানে মানব পাচারকারী চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার, শিশুসহ ৫৮ ভিকটিম উদ্ধার

আখতার হোসেন হিরু,টেকনাফ (কক্সবাজার)
    প্রকাশিত : শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩
কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানব পাচারকারী চক্রের ইয়াইছিন গ্রুপের প্রধান ইয়াছিনসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই অভিযানে নারী ও শিশুসহ ৫৮ জন ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)
মুহাম্মদ ওসমান গনি গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান,কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার,মোঃ মাহফুজুল ইসলাম পিপিএম (বার) এর নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল, রাসেল,পিপিএম-সেবা মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনির নেতৃত্বে টেকনাফ মডেল থানার বিশেষ চৌকষ টিম   টেকনাফ মডেল থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকে বিরতিহীন সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে মানব পাচারকারী চক্রের ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড
মহেশখালীয়া পাড়ার আমজল হোসেনের ছেলে
মোঃ ইয়াছিন (২৩), একই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড দরগারছড়ার জলু সওদাগরের ছেলে মোঃ জুবায়ের (৩৫), একই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড উত্তর লম্বরী এলাকার বাদশা মিয়ার ছেলে নাজির হোছন (৬১) এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার
দুর্গাপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড লক্ষীনারায়নপুর
রশিদ মিয়ার বাড়ীর পাশের তাজুল ইসলামের
রামিমুল ইসলাম রাদীদ (৩১) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। মানবপাচার চক্রের দালালদের হেফাজত থেকে পাচারের জন্য জড়ো করে রাখা ৫৮ জন নারী, পুরুষ ও শিশু উদ্ধার করা হয়। টেকনাফ থানাধীন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ারঘোনা সাকিনস্থ বিজিবি সাইনবোর্ড সংলগ্ন মেরিন ড্রাইভ সড়কের পূর্ব পাশে পৌঁছালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাতানামা আসামীগণ দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টাকালে অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় উপরোক্ত আসামীদেরকে ধৃত করিতে সক্ষম হলেও অন্যান্য আসামীগণ দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। অত্র মামলার বাদী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সহায়তায় মানব পাচারের শিকার হওয়া ভিকটিম
৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও আইনের সংস্পর্শে আসা ৩৩ জন শিশুসহ মোট ৫৮ জনকে হেফাজতে নেন। উদ্ধারকৃত ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে ভিকটিম ৯ জন পুরুষ, ১৬ জন নারী ও আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু ৩৩ জনসহ মোট ৫৭ জন মায়ানমারের নাগরিক এবং ১ জন বাংলাদশী। উপরোক্ত ৫৭ জন উখিয়া-টেকনাফ থানাধীন বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে জানায়। ভিকটিমদের আর্থ-সামাজিক অনগ্রসরতা ও পরিবেশগত অসহায়ত্বকে পুঁজি করে উন্নত জীবন-যাপন, অধিক বেতনে চাকুরী ও অবিবাহিত নারীদেরকে বিবাহের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়া প্রতারণা পূর্বক ছল-চাতুরীর আশ্রয় নিয়ে যৌন নিপীড়ন, প্রতারণামূলক বিবাহ ও জবরদস্তিমূলক শ্রমসেবা আদায় এর অভিপ্রায়ে ৩/৪ দিন যাবৎ ধাপে ধাপে আসামীরা পরস্পর যোগসাজশে বর্ণিত ভিকটিমদের ঘটনাস্থলে এনে পাচারের প্রস্তুতি নেয়। পরবর্তীতে পাচারকারীরা বিভিন্ন সিন্ডিকেটের যোগসাজশে মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও ইন্দোনিশিয়া ভিকটিমদের পাচার করে।
তিনি আরো জানান, অপরাপর সংঘবদ্ধ জড়িত মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com