1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনের কর্মকাণ্ডে রাজউক কলুষিত - দৈনিক আমার সময়

ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনের কর্মকাণ্ডে রাজউক কলুষিত

আমিনুল ইসলাম বাবু
    প্রকাশিত : বুধবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৩
রাজউক জোন-৩/১ এর বাইশটেকী, মেহেদীবাগ, শাহীদবাগ ও ভাষানটেক এলাকার নির্মানাধীন বহু ভবনে রাজউকের কোন আইন মানা হয়নি, এসম্পর্কে ভূমি মালিকগন ও ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নাম না প্রকাশের শর্তে  ভবন নির্মাণকারীদের নিকট হতে জানা যায় তাহারা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করছেন, অন্যথায় তিনি প্রচন্ড রকম ঝামেলা করে থাকেন।
সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, অত্র এলাকার রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেন ভবন মালিকদের নোটিশ করে অফিসে ডেকে এনে টাকার বিনিময়ে অভিযোগ গুলো নিষ্পত্তি করেন, আর এ উৎকোচের টাকা মাঠ পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনের হয়ে তাহার ব্যাক্তিগত সহকারী রুবেল গ্রহন করে থাকে। রাজউক চাকুরীবিধি মোতাবেক ইমারত পরিদর্শকদের কোন ব্যক্তিগত সহকারী রাখার নিয়ম নেই, সেখানে সাইট ভিজিট নোটিশ সার্ভ করা, ভবন মালিকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং উৎকোচ গ্রহণ করা সবই রুবেল করে থাকে।
গত ৬ নভেম্বর তারিখে “ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনের অসততায় উচ্ছেদকৃত ভবন সমুহে নির্মাণ অব্যাহত” শিরোনামে দৈনিক আমার সময় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
২৬ সেপ্টেম্বর রাজউক জোন ৩/১ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পরিচালক তাজিনা সারোয়ারের নেতৃত্বে ভাষানটেক এলাকার দেওয়ান পাড়ায় উচ্ছেদ অভিযানে ভেঙ্গে দেওয়া ৭টি ভবনেই পূর্বাবস্থায় নির্মান কাজ শুরু করেছেন ভবন নির্মাতারা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক জন ভবন মালিক জানিয়েছেন আমরা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ তার চাহিদা মত উৎকোচ দিতে না পারায় ভবন গুলোর আংশিক অংশ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছিল যদিও আমাদের কিছু ত্রুটি ছিল। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেন কল দিয়ে মহাখালীর জোন ৩ এর অফিসে ডেকে নিয়ে ৭টি ভবনের জন্য উৎকোচের পরিমান নির্ধারণ করে দেয় কাজ শুরু করতে হলে। পরবর্তীতে আমরা তার চাহিদা মত উৎকোচ মোঃ শামীম হোসেনকে প্রদান করি এলাকার ঠকাদার ইব্রাহিম এর মাধ্যমে। ঠিকাদার ইব্রাহিমকে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি মোঃ শামীম হোসেনকে উৎকোচদানের কথা স্মীকার করেন। পরবর্তীতে যদি ভবন গুলোতে একই অপরাধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয় তখন এর দায় কে নিবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন সকল দায় ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনকেই নিতে হবে তখন। কারন, তিন বলেছেন এই টাকার ভাগ অথরাইজ অফিসার, পরিচালক থেকে রাজউক চেয়ারম্যানকে দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বাইশটেকি, মেহেদীবাগ ও সহীদবাগ এর অনেক উচ্ছেদকৃত ভবন থেকে ইমারত পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেন লক্ষ লক্ষ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে কাজ করার অনুমতি দিয়েছেন যাহা বর্তমানে সমাপ্তির পথে। এ সকল উচ্ছেদকৃত ভবন সমুহের বর্তমান অবস্থা পরিদর্শন করে  এক সপ্তাহের মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা থাকলেও, ইমারত পরিদর্শক শামীম হোসেনের নিরবতা তারই বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতারই সামিল বলে প্রতিয়মান হয়।
মাঠ পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনের অনিয়ম, দুর্নিতী ও উচ্ছেদকৃত ভবন সমুহে পূর্বেরন্যায় নির্মাণ কাজ চলমান রাখা সম্পর্কে জানতে জোন ৩/১ এর অথরাইজড অফিসার শেখ মোঃ মাহাব্বীর রনি’র সাথে অফিসে না পাওয়া গেলেও তিনি মুঠোফোনে দৈনিক আমার সময় প্রতিবেদক’কে বলেন আমি বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছি, প্রয়োজনে উর্ধতন অফিসারদের সাথে আলোচনা করে তদন্ত করার ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
উচ্ছেদকৃত ভবন সমুহে কাজ অব্যহত থাকা ও উৎকোচ গ্রহনের বিষয়ে জানতে মাঠ পরিদর্শক মোঃ শামীম হোসেনের নিকট রাজউক জোন ৩/১ এর অফিসে বেশ কয়েক দিন যোগাযোগ করে এবং তাহার মুঠোফোন নাম্বারে যোগাযোগ করে ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি। খোজ নিয়ে জানতে পারা যায় তিনি ইদানীং সাইট ভিজিটে বেশী ব্যস্ত থাকেন, অফিসে আসেন কম ও কারো কল রিসিভ করেন না। পরবর্তীতে অন্য অপরিচিত নাম্বার দিয়ে কল করা হলে, অভিযোগ প্রাপ্ত ভবন সমুহের বিষয়ে তিনি নোটিশ করেছেন বলে দৈনিক আমার সময়’কে জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com