পর্তুগালের রাজধানী লিসবন বাংলাদেশ দূতাবাসে সোমবার, ১৭এপ্রিল ২০২৩ যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস” পালন করেছে।
রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। পরে দিবসটি উপলক্ষে প্রকাশিত রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান মিশনের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানের আলোচনা পর্বে বক্তারা জাতির ইতিহাসে ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন। সমাপনী বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। একটি প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে।১৯৭১ সালের ১০এপ্রিল এবং, ১৯৭১ সালের এই দিনেই মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলা আমের বাগানে শপথ গ্রহণ করেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকারের শপথ অনুষ্ঠানের পর সর্বস্তরের মানুষ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে। রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান বলেন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মুজিবনগর সরকার দেশের নয় মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিল যা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের দখলদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। তিনি আরো বলেন বঙ্গবন্ধু কারাগারে থাকলেও চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি ছিলেন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস।
রাষ্ট্রদূত মুজিবনগর দিবসের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করতে এবং ঐক্য ও সংকল্পের মাধ্যমে সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে কাজ করার আহ্বান জানান।
আলোচনা সভা শেষে! “ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস” নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
Leave a Reply