1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
লবণ ও পানের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা, রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি পান - দৈনিক আমার সময়

লবণ ও পানের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা, রেকর্ড মূল্যে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি পান

অনলাইন ডেস্ক
    প্রকাশিত : শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
দিদারুল আলম সিকদার, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি: 
কক্সবাজার জেলায় উৎপাদিত লবণ ও পানের বাম্পার ফলনে উচ্ছ্বাসিত চাষিরা। লবণের মূল্য গত দুই সপ্তাহ আগে কিছুটা কমলেও এখন আবার বেড়েছে। মিষ্টি পানের বিড়াও বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা দরে। যা এ যাবতকালের মধ্যে সর্বোচ্চ বলে জানিয়েছেন পান চাষিরা। এই দুইটি পণ্যের উপরই নির্ভরশীল উপকূলের অধিকাংশ লোকজন। লবণ ও পানের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্ছ্বাসিত চাষিরা। এতে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক গতি সঞ্চার হয়েছে।
লবণ চাষি জানায়, এরই মধ্যে লবণের উৎপাদন একর প্রতি ৭০০ মণ অতিক্রম করেছে। বৃষ্টিপাতের কারণে দুইদিন উৎপাদন বন্ধ থাকলেও এখন পুরোদমে আবারো উৎপাদন শুরু হয়েছে।
লবণ চাষি সমন্বয় পরিষদের আহবায়ক সাজেদুল করিম জানিয়েছেন, চলতি মৌসুমে লবণের লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশি উৎপাদন হবে। লবণের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হওয়ায় চাষিরা আগ্রহ করেই লবণ উৎপাদনে আরো মনোযোগী হয়েছেন। মাঠ পর্যায়ে চাষিরা প্রতিমণ লবণে পাচ্ছেন খরচ বাদ দিয়ে ৩৮০ টাকারও বেশী।
একইভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পান চাষীরা। এ যাবতকালের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি পান। যার কারণে উচ্ছ্বাসিত পান চাষিরাও।
মহেশখালী বৃহত্তর পান ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া জানিয়েছেন, আমরা বিগত সময়ে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা দরে এক বিড়া পান বিক্রি করেছি। চলতি মৌসুমে এক বিড়া ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হওয়া একটি রেকর্ড।
কুতুবদিয়া ছাড়া উপকূলের অধিকাংশ মানুষই পান চাষের সাথে জড়িত। যার ফলে সন্তোষজনক লাভের মুখ দেখেছেন চাষিরা।
মিষ্টি পান চাষি হোয়ানক ইউনিয়নের জাফর আলম জানিয়েছেন, মিষ্টি পানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত হওয়ায় আমরা সুন্দর জীবন যাপন করছি। বাজারে পান নিয়ে গেলেই পান বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা পাওয়া যায়। যারা পান চাষ করেছেন সকলেই লাভবান হয়েছেন। পানের বর্তমান দর অব্যাহত থাকলে সাধারণ মানুষের আর্থিক সংকট কেটে যাবে।
বিসিকের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন লবণের চাহিদাকে ঘিরে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলার টেকনাফ, কুতুবদিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, মহেশখালী, চকরিয়া ও চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায় ৬৬ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ চাষ হচ্ছে। গত মৌসুমে কক্সবাজারের ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণ উৎপাদন হয়। লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২৩ লাখ ৫৭ হাজার মেট্রিক টন। এবার প্রায় ৩ হাজার একর জমিতে লবণ উৎপাদন বাড়ছে, এ কারণে উৎপাদনও বাড়বে। চলতি মৌসুমে গত মৌসুমের চাইতে অধিক লবণ উৎপাদিত হয়েছে।
বিসিকের কক্সবাজার কার্যালয়ের উপ মহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল জানান, বিগত সময়ে প্রায় ৬০ হাজার একর জমিতে লবণ চাষ হলেও চলতি লবণ মৌসুমে লবণ চাষের জমি ও চাষীর সংখ্যা বেড়েছে। আশা করি, লবণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে কোন সমস্যা হবে না। বর্তমানে যতটুকু আশা করিনি তার চাইতে বেশি লবণ উৎপাদিত হয়েছে।
মহেশখালী কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, সব কৃতিত্বই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি পান ও লবণের বিষয়ে অবগত হয়েছেন বিধায় দেশে উৎপাদিত এই পণ্যের দরে গতি সঞ্চার হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com