চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিচ আজগরের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী অভিযানে অপরাধকার্যে ব্যবহারিত বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ও ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে।
গত শনিবার (৬মে) ২০২৩ ইং তারিখ সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নে বনগ্রাম এলাকার গণবিদ্যালয়ের পশ্চিম পার্শে মাহাবুল আলম চাষি ফার্মের ভিতরে গহীনজঙ্গলে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিচ আজগরের নেতৃত্বে সাথে ছিলেন একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন ইমু, গ্রাম পুলিশের দলপ্রধান পারভেজ, আব্দুস সালাম, আবু সৈয়দ, ছোটন, আশরাফ আলী, কোরবান আলী ও এলাকার সাহসী যুবকদের নিয়ে উল্লেখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিচ আজগর বলেন, বেশ কিছুদিন যাবত তারা আমার ইউনিয়নে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে অন্যতম আসামী মাহাবুল আলম চাষীর ফর্ম এলাকায় গহীন জঙ্গল হতে মাদকসহ বিভিন্ন অনৈতিক অপরাধের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। মাদক ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের এলাকায় কিছু বহিরাগত ছেলেদের নিয়ে একই এলাকার নামধারী কিছু অসাধু ব্যক্তি নেতৃত্বে এসব কর্মকাণ্ড সাধন হচ্ছে। এছাড়াও সঙ্ঘবদ্ধ সন্ত্রাসীর দলটি নেতৃত্ব দিচ্ছেন চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বনগ্রাম এলাকার বাসিন্দা বরিশাল থেকে আগত মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে আরিফ (২৪), হাসান (২৫), সোহাগ(২৭) ও হারুনের ছেলে মহিউদ্দিন(২৫) ইব্রাহিমের ছেলে ইমরান(২৬) সহ নাম না জানা আরও ১২ থেকে ১৫ জন অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে বিভিন্ন মাদক ব্যবসা থেকে শুরু করে বেশ্যাবৃত্তি, চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি ও চাঁদাবাজ করে যাচ্ছে। দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার সময় আমাদের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে সবাই পালিয়ে গেলেও উক্ত স্থান থেকে ২৫পিস ইয়াবা, রামদা, তলোয়ার, রশিসহ তাদের ব্যবহার্য বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। এইসব সরঞ্জামাদি দেখে অনুমান করা হচ্ছে তারা কোন বড় কোন ধরনের অপরাধ সংগঠিত করতে প্রস্তুত হচ্ছে। পরে, অভিযানে উদ্ধারকৃত সমস্ত সরঞ্জামাদি রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
একই ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন ইমু বলেন, গত মঙ্গলবার (২মে) ভোররাতে ৩০৩ পিস ইয়াবাসহ সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধীদের অন্যতম সহযোগী সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানা পুলিশ। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি ৪৩৮ পিস ইয়াবাসহ সোহাগ ও তার ভাই আরিফ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পরে জামিনে বের হয়ে তারা ফের ইয়াবার কারবারে জড়িয়ে পড়ে। তারা মাদক ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ছাড়াও বিভিন্ন কায়দায় মেয়েদের দিয়ে ফোন দিয়ে মানুষের সাথে ব্ল্যাকমেইল করে চাঁদা দাবি করে আসছে।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুব মিলকি বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইদ্রিচ আজগর এ বিষয়ে আমাকে ফোন করে জানিয়ে ছিলেন, ঐ এলাকায় এর আগে ইয়াবাসহ দোভাষী বাজার এলাকা থেকে সোহাগ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়, অভিযানের ইয়াবা কারবারি সোহাগের সহযোগী তার ছোট ভাই আরিফ পালিয়ে যায়। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে। চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়নসহ রাঙ্গুনিয়ার সকল ইউনিয়নে মাদকবিরোধী অভিযান চলমান রয়েছে।
Leave a Reply