১২ মার্চ মঙ্গলবার শুরু হয়েছে পবিত্র মাহে রমজান। কর্মব্যস্ত মানুষ গুলো অফিস শেষে যেখানে ছুটে চলেছেন আপনজনের সাথে ইফতার করতে। ঘরে ফেরা মানুষ গুলো যাতে নির্বিঘ্নে ঘরে পৌঁছাতে পারে শহরটাকে যানজট ও হকার মুক্ত করতে ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার যানজট নিরসনে ডিএমপির সকল থানার পুলিশদের কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
তারাই ধারাবাহিকতায় ডিএমপি রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন,পিপিএম এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় পবিত্র মাহে রমজান এর প্রথম দিন থেকে নিউমার্কেট থানাধীন এলাকায় হকারমু্ক্ত করতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন নিউ মার্কেট থানা পুলিশ।
এই বিষয়ে নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন
নাগরিকদের স্বচ্ছন্দে হাঁটাচলার সুবিধার জন্য ফুটপাত তৈরি করেছে সরকার।ঢাকা মহানগরীর প্রায় সব ফুটপাত দিয়ে এখন আর পথচারীদের হাঁটার জো নেই।বিশেষ করে ‘রমজানে দুর্ভোগ লাগবে নিউমার্কেট থানাধীন এলাকার ফুটপাত দখল মুক্ত করে জনগণের অবাধ চলাচল নিশ্চিত করা হয়েছে এবং দখলদারদের সতর্ক করা হয়েছে।পুনরায় ফুটপাত দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে প্রতিদিন নিউমার্কেট থানায় প্রায় ৫০ জন অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।
যারা থানা পুলিশের অধীনে থেকে ট্রাফিক পুলিশের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে।
এই বিষয়ে ডিএমপি নিউ মার্কেট থানার সুযোগ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন রমজানকে বলা হয় সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস। রমজান মাসের শুরু থেকে রাজধানীতে যানজট সংকট প্রকট হয়ে ওঠে।বেশী করে রাজধানীর নিউমার্কেট থানাধীন এলাকায় অনেক গুলো বিপনী বিতান থাকাতে এই এলাকায় অসহনীয় যানজট দেখা দেয়।
রমজানের এই তীব্র যানজটের অন্যতম কারণ ফুটপাতের দোকান। এবার পুরো রমজান মাসে নিউমার্কেট থানাধীন এলাকায় ফুটপাতে কোনো ধরনের ইফতারি বিক্রির দোকান অথবা মৌসুমি ফল বা পণ্যসামগ্রী বিক্রির দোকান বসানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।এরই মধ্যে নিউমার্কেট থানাধীন বিভিন্ন অংশের ফুটপাতের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছি। অন্যদের সতর্ক করা হয়েছে।আমরা প্রতিনিয়ত ফুটপাত দখল মুক্ত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি ।পুরো রমজান মাস জুড়ে আমাদের এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন ফুটপাতের পাশাপাশি রমজানে নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সর্বস্তরের জনগন যদি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বপ্রনোদিত হয়ে ফুটপাত
পরিস্কার রাখে তবে আমাদের জন্য কাজ করা সহজ হয়ে
যায়। আসলে প্রত্যেক নাগরিকের উচিত নিজের আইন মেনে চলা এবং অন্যকে আইন-মেনে চলতে উদ্বুদ্ধ করা।
আমরা নিউমার্কেট থানা পুলিশ রাস্তা পরিষ্কার রাখার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গণ-পরিবহনে সচেতনতামূলক বিভিন্ন ধরনের স্টিকার লাগাচ্ছি এবং মার্কেট সময়ে সচেতনতামূলক অডিও সরবরাহ করে তা প্রচারের ব্যবস্থা করেছি।তাছাড়া পুলিশ হতে নিউমার্কেটের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুম নির্মাণ করেছেন। যেখান থেকে ক্রেতা সাধারণ এবং ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি পরিচালিত হচ্ছে।এধরনের তদারকির কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।পুলিশে সেবা সহজিকরণের জন্য এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন ওসি মো. আমিনুল ইসলাম।
Leave a Reply