মোঃ শরিফুল ইসলাম, রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
ফুল মিয়া। বয়স ষাট। শারীরিক ভাবে অক্ষম আগের মতো আর ভ্যান চালাতে পারেন না। পরিবার পরিজন নিয়ে দুবেলা খাবার যোগাতে হিমসিম খেতে হয় তাকে। থাকেন বালিয়ামারি ব্যাপারি পাড়া গ্রামে। কয়েকদিন থেকে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে ফুল মিয়া। শুধু তাই নয় নলকূপের পানি দিয়ে ইফতার করেন পরিবার নিয়ে। খবর পেয়ে রাতেই ফুল মিয়ার বাড়ি বালিয়ামারি ব্যাপারি পাড়ায় ছুটে যান রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রর্বত্তী।
২৭ মার্চ মঙ্গলবার রাত ৯ টায় উপজেলার এই মানবিক কর্মকর্তাকে দেখে হুহু করে কেঁদে ফেলেন ফুল মিয়ার স্ত্রী। ইউএনও সরকারি অনুদান হিসেবে দশ কেজি চাল, দুই কেজি ডাল, দুই লিটার তেল, তিন কেজি আলু, এক কেজি লবণ, এক কেজি খেজুর, এক কেজি ছোলা, দুই কেজি পেয়াজ ও নগদ অর্থ সহায়তা নিজেই পৌঁছে দিচ্ছেন হতদারিদ্রদের বাসায়।
ইউএনও এর সহায়তা পেয়ে ফুল মিয়ার স্ত্রী আমিনা বেগম বলেন, আল্লাহ আপনাকে অনেক বছর বাঁচিয়ে রাখুক। যে মা এমন ছেলে গর্ভে ধারণ করেছে আল্লাহ যেন সেই মাকে ভালো রাখেন।
শুধুমাত্র ফুল মিয়াই নন কয়েকদিন আগে রাজিবপুর উপজেলা ধুলাউড়ি গ্রামের বেলাত আলীর ছেলে শারীরিক প্রতিবন্ধী অসহায় সবুজ মিয়ার মুখে হাসি ফুটাতে এক মাসের খাদ্য সহায়তা ও দুইটি কম্বল তুলে দিয়ে আসেন রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রর্বত্তী। এসব খাদ্য সহায়তা পেয়ে খুশিতে ইউএনওকে ঝড়িয়ে ধরেন সবুজ মিয়া।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত চক্রর্বত্তী বলেন, আমি আমার সাধ্যমত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। এই উপজেলা যত অসহায় মানুষগুলো রয়েছে তাদের প্রত্যেকের খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করি। কেউ যদি বিপদে পড়ে, তাহলে আমার মন কাঁদে আমি কখন গিয়ে থাকে সহায়তা করবো। যতটুকু পারি আমি সহযোগিতা করার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখব।
Leave a Reply