ব্রহ্মপুত্র নদ খননে বরাদ্দকৃত ২৭৬৩ কোটি ৬০ লক্ষ টাকার ফলপ্রসু ব্যবহার, নদের নাব্যতা ফিরিয়ে আনা এবং নদ-নদী-জলাশয় দখল-দূষণমুক্ত করার দাবীতে জনউদ্যোগ ব্রহ্মপুত্র নদ সুরক্ষায় মিডিয়া ক্যাম্পেইন করেছে।
শনিবার (৬মে) সকালে ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে এ মিডিয়া ক্যাম্পেইন করেছে।
এ সময় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কয়েকজন সাংবাদিককে সাথে নিয়ে জনউদ্যোগ নেতৃবৃন্দ শনিবার সকালে নদের খননকৃত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। ৩০০ ফুট প্রসস্থ ও শুকনো মৌসুমে কমপক্ষে ১০ ফুট গভীর গভীর পানি থাকার নিশ্চয়তা দেয়া হলেও বাস্তবে তা ঘটেনি। কোন এলাকায় ৫০ থেকে ১০০ ফুট প্রসস্থ থাকলেও অনেক যায়গায় পায়ে হেঁটে নদ পার হওয়া যায়। অধিকাংশ যায়গায় বালুর চর জেগেছে। চরে সবুজ ঘাস জন্মেছে।
জনউদ্যোগ নেতৃবৃন্দ মনে করেন, খননের নামে সরকারী অর্থের অপচয় হচ্ছে এবং নদকে খালে রুপান্তর করা হচ্ছে। চলতি জুন-জুলাইয়ে এই নদে বার্জ লঞ্চ চলার কথা থাকলেও এখন নৌকাও চলতে পারছে না।
জনউদ্যোগের দাবী অনুযায়ী নদের সীমানা চিহ্নিত না করার ফলে প্রতিনিয়ত অবৈধ দখল বেড়েই চলছে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার ফলে জেলার প্রায় সকল নদ-নদী-জলাশয় দখল ও ভরাট হয়ে প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রতিবেশের বৈচিত্র্যতা হারিয়ে যাচ্ছে।
জনউদ্যোগের আহবায়ক অ্যাড. নজরুল ইসলাম চুন্নু, যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাড. আবদুল মোত্তালেব লাল, উপদেষ্টা বাকৃবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ড. শাহাব উদ্দিন,
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অ্যাড. শাহ্ আশরাফুল হক জর্জ, সদস্য অ্যাড. আবুল কাশেম, খন্দকার সুলতান আহমেদ, অ্যাড. মতিউর রহমান ফয়সাল, নূর নাহার বেগম দীপা, জিয়াউর রহমান জিয়া, অ্যাড. শহীদুল ইসলাম, সদস্য সচিব কাজী শাখাওয়াত হোসেন প্রমুখ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply