জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশাসন ও অর্থ মো: ইকবাল হোছাইন জানান, ঘটনার পর পরই আমরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এজহার ভুক্ত আসামী মোহাম্মদ হোসেনকে মঙ্গলবার রাতে গ্রেফতার করি। তার দেয়া ১৬৪ ধারা জবানবন্দির ভিত্তিতে বুধবার রাতে জগৎসার গ্রাম থেকে আরো দুই আসামী নজরুল ইসলাম ও সিয়ামকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি ও ক্ষুর তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিকভাবে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, নিহত জাহিদুলের বড় ভাই ছানাউল্লাহ্ একই এলাকার নজরুল ও হোসেনেকে মাদকসহ পুলিশের কাছে ধরিয়ে দেয়। এ ক্ষোভ থেকেই তারা জেল থেকে বের হয়ে প্রতিশোধ নিতে ছানাউল্লাহ্কে খুঁজতে থাকে। তাকে না পেয়ে তার ছোট ভাই জাহিদুলকে ডেকে স্থানীয় পুকুরের পাড়ে ৫ জন মিলে ছুরি ও ক্ষুর দিয়ে জাহিদুলের শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করে। তবে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে যে তথ্য দিয়েছে তার সত্যতা আরো নিশ্চিত করতে অধিকতর তদন্ত চলছে বলেও তিন জানান। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় অপর দুই অজ্ঞাতনামা আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ সময় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ এমরানুল ইসলাম প্রমূখ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের দক্ষিন জগৎসার গ্রামের একটি পুকুর থেকে জাহিদুল নামে এক কিশোরে ক্ষত বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে চট্টগ্রামের একটি বিস্কিট বেকারীতে কাজ করত। সে ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিল। এ ঘটনায় নিহতের বাবা এলাছ মিয়া পাঁচজনকে আসামী ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply