1. : admin :
বরিশাল বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা - দৈনিক আমার সময়

বরিশাল বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভা

বরিশাল প্রতিনিধি
    প্রকাশিত : শনিবার, ১৩ মে, ২০২৩

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ১৩ মে বিকেল ৪টায় বরিশাল সার্কিট হাউজ সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরী সভায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিন উল আহসান। এ সময় তিনি আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’এর সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি  সার্বিক প্রস্তুতি তুলে ধরার পাশাপাশি দুর্যোগ কালীন সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখার জন্য সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি গ্রহন করার জন্য সবাইকে আহবান জানান। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোঃ হুমায়ুন শাহীন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) খোন্দকার আনোয়ার হোসেন, রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আখতারুজ্জামান, শেখ হাসিনা সেনানিবাসের লে. কর্নেল মোঃ হাবিবুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, নৌ-পুলিশ সুপার কফিল উদ্দিন সহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থার প্রতিনিধিগণ। ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় বরিশাল বিভাগের প্রস্তুতি বরিশাল জেলায় আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত ৫৪১টি, মানুষের ধারণ ক্ষমতা ২ লক্ষ ৭০ হাজার ৫০০ জন, গবাদিপশু ৫০ হাজার, খাদ্যশস্য ৮৯৯ মেট্রিক টন, নগদ অর্থ ৯ লক্ষ টাকা, কম্বল ৫০০০ পিস, টিন ১৩ বান্ডিল, স্বেচ্ছাসেবক ২ হাজার, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ১১টি, মেডিকেল টিম ১১টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ২০টি। বরিশাল বিভাগে মোট আশ্রয় কেন্দ্রে প্রস্তুত ৩১০১টি, প্রস্তুত মুজিব কেল্লা ৩৫টি, মানুষের ধারণক্ষমতা ১৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬০৬ জন, গবাদিপশু ১২ লক্ষ ৪১ হাজার ৪৯০ টি, খাদ্যশস্য ২৭০৮ মেট্রিক টন, নগদ অর্থ ৫৯ লক্ষ ২০ হাজার ৮০৪ টাকা, কম্বল ২০৭০০ পিস, টিন ৫৪৩ বান্ডিল, স্বেচ্ছাসেবক ৩৯৪২৫ জন, নিয়ন্ত্রণ কক্ষ ৪৮টি, মেডিকেল টিম ৩৫৭টি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ২০টি।জরুরি সভায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ মোখা মোকাবিলায় বিভাগীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভার সিদ্ধান্ত- ১. সকল ধরনের সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ২. পর্যাপ্ত শুকনো খাবারের পাশাপাশি পানি বিশুদ্ধ করন ঔষধ, মোমবাতি, ম্যাচ, খাবার স্যালাইন, প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ঔষধ এর ব্যবস্থা রাখা। ৩. আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে সেখানে মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিগত বহুতল ভবন, অফিস সমূহ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ৪. বিভাগের সকল স্থানে মাইকিং ও আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য প্রচার করতে হবে। ৫. প্রাণীসম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব আরোপ করতে হবে এবং পর্যাপ্ত গোখাদ্যর ব্যবস্থা রাখতে হবে। ৬. সিপিপি, রেড ক্রিসেন্ট সহ সকল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো দূর্যোগ মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রস্তুত রাখতে হবে। ৭. বিভাগীয়, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে দুর্যোগ মোকাবেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। ৮. বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে সল্পতায় সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com