রাজধানীর ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া গুলশানে হেয়ার কাটিং সেলুন বিউটি পার্লার স্পা সেন্টারের নেপথ্যে চলছে জমজমাট মাদক ও যৌন ব্যবসাসহ ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃংখ্যলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত পাপাচার জেনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়। তবুও এক শ্রেণীর নরপশু টাকার লোভে ব্যবসার নামে জঘন্য পাপাচারে লিপ্ত হয়ে সমাজ নষ্ট করছে। মাদক আর নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে। অনুসন্ধানে জানা যায় গুলশান বনানীর প্রায় প্রতিটি সড়কে তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং সেলুন অথবা স্পা সেন্টার খুলে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা ফেদে বিপুল পরিমান অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে।
গুটিকয়েক স্পা ও পার্লার সরকারের নিয়মনীতি কিছুটা মেনে চললেও তার উল্টো চিত্রই দেখা যায় গুলশান ও বনানী’তে জারা,নয়ন,রিয়া ,পায়েল,আজাদ,শুভ,কুদ্দুস,পাপ্পু,শাওন,
নুরুল ইসলাম,হাসি,রত্না,রিয়া,ইভাসহ বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ মিলে প্রশাসনের নাকের ডগায় ধেদারচে চালাচ্ছে অবৈধ স্পা-পার্লারের আড়ালে মাদক ও দেহ ব্যবসা।
১৪/১৫ বয়সি যুবতী মেয়ে দিয়ে দেধারছে চালাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা ।এসকল ব্যবসায়ীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন ধরনের সেক্সুয়াল ইঙ্গিতমূলক চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্লায়েন্ট ডেকে যুবক দিয়ে যুবতীদের এবং যুবতী দিয়ে যুবকদের স্পা করানো কথা বলে করেন দেহ ব্যবসা। প্রায় সময় উলঙ্গ ছবি বা ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা দিয়ে পরবর্তীতে ব্লাকমেইলিং করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
এ ক্ষেত্রে সুন্দরী বাঙালি তরুণী ছাড়াও থাই, নেপালি বা অন্য কোনেও বিদেশি তরুণীদেরও ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। এছাড়াও ওইসব স্পটে গ্রুপবেঁধে চলে অবৈধ কর্মকাণ্ড,ঠিক যেন মধুচক্রের আসর।এদিকে সরেজমিনে গিয়ে তথ্য পাওয়া যায় এবং মহল্লার লোকজন বলেন গুলশান ও বনানীর কবরস্থানের সামনে আজাদ নামের এক যুবক এখানে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন ক্যাটাগরির ১০-১২ জন মেয়ে দিয়ে ম্যাসেজ করানো হয়। বয়স ছাড়াও ম্যাসেজে পারদর্শী ও অপারদর্শীদের আলাদা ক্যাটাগরি রয়েছে। ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া কম বয়সী মেয়েরাও আছে। যদি কেউ প্রশিক্ষিত মেয়েদের নিয়ে সারা শরীর ম্যাসেজ করাতে চান তাহলে খরচ পড়বে ঘণ্টাপ্রতি ২৫০০ থেকে ৩০০০ টাকা। যদি এক ঘণ্টা ফুল কাজ করেন তাহলে পড়বে পাঁচ হাজার। ভালো ক্যাটাগরির আকর্ষণীয় মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘণ্টায় ছয় থেকে সাত হাজার পড়বে।’
পুলিশের ঝামেলা হবে না তো? জানতে চাইলে ওই লোকজন ও ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘কোনো সমস্যা নাই, আমাদের সব বৈধতার কাগজ আছে। আমরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করি, নিয়মিত মাসোয়ারা দেই। কোনো সমস্যা নাই।
কথা হয় গুলশানের ব্লু ট্যারেস স্পা নামের একটি স্পা-মালিকের সাথে তিনি বলেন আমরা সিটি কর্পোরেশনের কাছ থেকে বিউটি সেলুনের ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে পরিচালনা করছে ম্যাসেজ সেন্টার।স্থানীয় লোকজনরা বলেন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ‘ভালো মেয়েদের দ্বারা’ বডি ম্যাসেজ করা হয়। ঘণ্টায় তিন থেকে চার হাজার টাকা লাগে। এখানে ‘ফুল কোর্সও’ রয়েছে, রেট সাত থেকে ১০ হাজার টাকা।
ঢাকা মহানগরীতে প্রকাশ্যে ঠিক কতো সংখ্যক স্পা-পার্লার রয়েছে তার নির্দিষ্ট সংখ্যা জানা নেই কারোই! তবে এদের ভিতরে উল্লেখযোগ্য গুলশান দুই ৫৫ নং রোডের ১২/বি নং বাড়িতে লিফটের চার , এ্যরোমা থাই স্পা , মালিক হাসিনা মমতাজ হাসি । গুলশান-২ নম্বর এলাকার বাড়ি নং -৩৩ রোড নং ৪৫ হোটেল এইচ এর (চতুর্থ তলা) (১) অধরা থাই স্পা/বিউটি থাই স্পা মালিক রত্না আক্তার, গুলশান -২,২৫/১/এ প্ল্যাটিনিয়াম মার্কেটের ৩য় তলায় (২)ডায়মন্ড বিউটি এন্ড স্পা মালিক প্রিন্স আকাশ ওরফে নয়ন আকাশ এবং রিয়া গুলশান -১ বাড়ি নং ৯১/বি,রোড নং -২৪, রতনপুর ক্যাশেল এর (৩য় তলা), (৩)মালিক আবুল হোসেন শাওন ও লাকী, বাড়ি নং ৯১/বি রোড নং ২৪ রতনপুর ক্যাশেল এর চার তলায় , মালিক জারা । গুলশান -১ বাড়ি নং ৯১/বি,রোড নং -২৪, রতনপুর ক্যাশেল এর ২য় তলায়, পায়েল নামক এক মাদক ব্যবসায়ীর মালিকানায় চলছে মিনি পতিতালয় । বাড়ি নং:-২৩/বি,রোড নং ১০৪ , (৪)মালিক লাকী নামে এক নারী, বনানী ০৩ নং রোডের ০৪ নং বাড়ির ২ম তলায় মালিক পায়েল নামের এক মাদক ব্যবসায়ী। এছাড়া বনানী দুই নম্বর রোডেও চলছে এই ধরনের একটি ফ্লাট ।দীর্ঘদিন যাবৎ অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে । এদের ভিতরে ৫৫ নং রোডের হাসিনা আক্তার হাসি এবং ২৪ নং রোডের জারা সম্মিলিত ভাবে লিডার বলে পরিচিতি পেয়েছে।গুলশান – বনানী ও বারিধারায় এই অন্ধকার জগৎ এর নেতৃত্বে আছেন হাসি এবং জারা ।
ঢাকা সিটি করপোরেশন থেকে ‘ক্ষুদ্র ব্যবসার’ লাইসেন্স নিয়ে এসব অভিজাত এলাকায় কেবল দেহব্যবসা নয়, মাদকের রমরমা ব্যবসারও তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে।
এই বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এডিসির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্পা গুলোতে আমরা এর আগে ও বেশ কয়েকবার অভিযান করেছি অনেক মালিক সহ কর্মচারীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করে থানায় দিয়েছি।বর্তমানে গুলশানে স্পা সেন্টার গুলো প্রচুর বেড়ে গেছে যেকোনো সময় অভিযান পরিচালনা করতে পারি।তখন আপনাদের জানাবো।
এ বিষয়ে উত্তরা র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোসতাক আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ করেনি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম তারপর ও আমরা আমাদের মতো তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
Leave a Reply