1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
পুলিশের হাতে পুলিশ খুন: কাউছারের রিমান্ড ৭ দিনের - দৈনিক আমার সময়

পুলিশের হাতে পুলিশ খুন: কাউছারের রিমান্ড ৭ দিনের

ইমন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
    প্রকাশিত : সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪

রাজধানীর গুলশান থানার অধীন বারিধারা ডিপ্লোমেটিক জোন এলাকার ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে পুলিশ কনস্টেবল মনিরুলকে এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করে আরেক পুলিশ সদস্য কাউসার আলী।

শনিবার(৮ জুন) দিবাগত রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ঘটেছে এ ঘটনা।
এ ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন নামে জাপান দূতাবাসের এক গাড়ি চালক আহত হয়েছেন। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, পুলিশ কনস্টেবল মনিরুলকে গুলি করে হত্যা করা আরেক পুলিশ সদস্য কাউসার আলীকে বিকেলে রিমান্ড আবেদন করে সিএমএম আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ ঘটনায় কনস্টেবল কাওসারকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন নিহত মনিরুল হকের ভাই মো. মাহাবুবুল হক।

আদালত সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য কাউসার আলীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। রোববার (৯ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদ রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

এদিকে রোববার   দুপুরে ডিএমপির সদর দপ্তরে ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, বারিধারায় সহকর্মী মনিরুল ইসলামকে কাওসার ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি করে হত্যা করেন।

কাওসারের স্ত্রী নিলুফা বললেন, ‘কাওসারের মানসিক সমস্যা ছিল। রাঙামাটির বরকলে চাকরি করার সময় তিনি মানসিক সমস্যায় ভোগেন। এরপর বিভিন্ন সময় সরকারিভাবেই তাঁকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে অন্তত তিনবার চিকিৎসা করানো হয়েছিল। নিয়মিত ওষুধও সেবন করতেন। কাওসারের কাছে প্রেসক্রিপশনও আছে।’ তবে সহকর্মীকে খুন করাকে তিনি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছেন না।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, কাওসার ও মনিরুলের মধ্যে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ ছিল না। কাওসার বেশ নিয়মতান্ত্রিক ছিলেন। তিনি মানসিকভাবে স্ট্রেসড ছিলেন। প্রায় ৮ থেকে ৯ রাউন্ড গুলি ছুঁড়েন কাওসার। তিনি জানেন না কীভাবে হয়ে গেল এমনটা। তবে এ ঘটনায় তিনি অনুতপ্ত।

মামলার তথ্যসূত্রে জানা যায়, নিহত মনিরুলের বাড়ি নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলায়। আর আসামি কাওসারের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায়।

জানা যায়, নিহত মনিরুলের ১৭ মাস বয়সী একটি ছেলে আছে। তার স্ত্রী-সন্তান ও মা নেত্রকোণায় গ্রামের বাড়িতে থাকেন। বাবা মারা গেছেন। মনিরুলের এক ভাইও পুলিশের কনস্টেবল।

তদন্ত-সংশ্লিষ্ট পুলিশ সূত্র বলছে, কাওসারকে মানসিকভাবে হতাশাগ্রস্ত মনে হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। তাঁর গত ১৫ দিনের কর্মকা- পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তিনি যাঁদের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন, যাঁদের সঙ্গে থেকেছেন, তাঁদের সঙ্গে তদন্তকারীরা কথা বলবেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com