ভেঙে পড়ার পাঁচ বছর পার হলেও মেরামত হয়নি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার চালা ইউনিয়নের বাবুপুর (গোপালপুর)গ্রামের ব্রীজটি। উপজেলার দিয়াবাড়ি বাজার এবং হাই স্কুল থেকে ১০০ মিটার দূরুত্বে ব্রিজটির অবস্থান । স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ পাঁচটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিশেষকরে প্রসুতি ও রোগীরা চরম দুর্ভোগে।
এলাকার বাসিন্দা আজিমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ মহিদুর রহমান বলেন, এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে ব্রীজের পাশে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও বাই সাইকেল, মোটর সাইকেল, রিক্সা ও ভ্যান পারাপার করা সম্ভব হচ্ছে না। এতে কৃষিপণ্যসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহনেও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গ্রামবাসী।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সেতু/কালভার্ট কর্মসূচির আওতায় ২৬ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রীজটি নির্মিত হয়। ২০১৭ সালের বন্যায় ব্রীজটি ভেঙে পড়লেও দীর্ঘ পাঁচ বছরে মেরামত করা হয়নি। স্থানীয়রা কয়েকবার ইউপি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালেও তাতে কোন সুফল মেলেনি।
চালা ইউনিয়নের প্যানেল উদ্যোক্তা মো. শামীম মোল্লা জানান, প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে খোদানওদা, জামালপুর, বাবুপুর, কচুয়া ও ইজদিয়া/সাপাইর গ্রামের হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। বাঁশের সাঁকো দিয়ে রোগীদের পার করে প্রধান সড়ক থেকে হাসপাতালে নেয়া অনেক কষ্টের। এলাকার কোন প্রসুতিকে হাসপাতালে নেয়া আরো বেশি কষ্টের। স্কুল আর কলেজের শিক্ষার্থীদের ও দুর্ভোগের শেষ নেই। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জনপ্রতিনিধিদের জানানো হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
দিয়াবাড়ি বাজারের ব্যবসায়ী আকাশ সরকার বলেন, কয়েকটি গ্রামের মানুষের কৃষি পন্য পরিবহনে কষ্টের শেষ নেই। কোন গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীরা সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে। দিয়াবাড়ি বাজারসহ ঝিটকা বাজারে কৃষি পন্য পরিবহনে সমস্যা বলে কেনা বেচা করতেও সমস্যা হয়। এ ব্রিজটির দ্রুত সংস্কার অথবা নতুন ব্রীজ চাই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মানিকুজ্জামান জানান, ওই জায়গার জন্য ৫০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি ব্রীজের প্রস্তাব প্রেরণ করেছি। এখনো অনুমোদন পাইনি। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
উপজেলা চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান বলেন, ব্রীজের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply