হাছান রাজা বাপ্পী:
পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতে বেশি এসেছে একজোড়া ইরাবতী ডলফিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের ডলফিনগুলো বেঁচে আসে। এরপরে একটি জোয়ারে ভেসে যায় অপরটি সৈকতে আটকা পড়ে মেয়েটা আটকা পড়া ডলফিন ৩ ফুট লম্বা এবং ওজন প্রায় ১৫ কেজি। খবর পেয়ে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি পর্যবেক্ষণ দল কটনাস্থলে পরিদর্শন করে। পর্যবেক্ষণ শেষের সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ বেলাল হায়দার জানান, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায় মৃত ডলফিন দেহে অসংখ্য আঘাতিক চিহ্ন রয়েছে এবং দেহে পচন ধরেছে। ধারণা করা হচ্ছে যে জেলেদের জালে আটকা পড়ে কিংবা অন্য কোনভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ডলফিনের মৃত্যু হয়েছে বলে যানান। তিনি আরো জানান ইরাবতীর ডলফিন তীর থেকে বেশি দূরে যায় না। তারা সব সময় উপকূলের কাছাকাছি বসবাস করতে পছন্দ করে। সাগরে নৌকাবাহি জেলেদের জালে আটকে মারা যাওয়া এবং বাসস্থান ধ্বংস হয় ইরাবতীর ডলফিনের প্রধান বিপদ বলে ধারণা করছে। কক্সবাজার বন পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দিপু জানান বাংলাদেশে ইরাবতীর দর্শন সংরক্ষণের সংশ্লিষ্ট সবার এগিয়ে আসা প্রয়োজন। তাতে করে ডলফিন জাতের মাসে আসে বৃদ্ধ হওয়ার চাহিদা রয়েছে সাগরে।
Leave a Reply