1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৪ - দৈনিক আমার সময়

নির্বাচনী সহিংসতায় আহত ৪

পলাশ তালুকদার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
    প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৩
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল–৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি মারামারির ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ সময় নৌকার নির্বাচনি কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মারামারির এ ঘটনায় এলাকায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার লক্ষিন্দর ইউনিয়নের বাঘাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে ঘাটাইল থানার ওসি মো. আবু ছালাম মিয়া নিশ্চিত করেছেন।
খবর পেয়ে সাগরদিঘী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভিক্টর ব্যাণার্জী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহতদের মধ্যে নৌকার সমর্থনকারী স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাফর ও ঈগলের সমর্থক ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম, তার ভাই হামিদুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম এবং রুহুল আমিনকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমানের সমর্থকদের দায়ী করেছেন নৌকার প্রার্থী ড. কামরুল হাসানের সমর্থক লক্ষিন্দর ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান।
এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগলের সমর্থক) আমানুর রহমানের সমর্থকদের উপর হামলা করে তা ধামাচাপা দিতে নৌকার কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনাটি ড. কামরুল হাসান (নৌকা) সমর্থকদের সাজানো নাটক বলে দাবি করছেন স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক (ঈগল সমর্থক) মো. নুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নৌকা সমর্থক ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ঈগল সমর্থকদের অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করছিলেন। একপর্যায়ে ঈগলের সমর্থককে ডেকে নিয়ে শাসাচ্ছিলেন ওই চেয়ারম্যান। কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে নৌকার সমর্থকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুরের সমর্থকের ওপর হামলা চালায়। এতে চারজন আহত হলে গুরুতর আহত অবস্থায় ইউপি সদস্যসহ তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নৌকার সমর্থকরা পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটিয়ে ঈগলের সমর্থকদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন বলে দাবি করছেন ওই আওয়ামী লীগ নেতা।
এ ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, নৌকার নির্বাচন উপলক্ষে খিচুড়ি খাওয়ার আয়োজন করেছিল স্থানীয় সমর্থকরা। এখানে কাউকে গালি-গালাজ করার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা আমাদের মতো আলোচনা করছিলাম। হঠাৎ ঈগলের সমর্থকরা এসে অফিস ভাঙচুর করে ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিকে মারধর করেন । একপর্যায়ে দুই গ্রুপেই পাল্টাপাল্টি মারামারির ঘটনা ঘটে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com