ঢাকা জেলায় কার্যক্রম পরিচালনাকারী এনজিওসমূহের সাথে ঢাকা জেলা প্রশাসনের এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার সম্মানিত জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ মমিনুর রহমান। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) জনাব কাজী হাফিজুল আমিন, এনজিও পরিষদ ঢাকা জেলার প্রতিনিধিগণ, জেলা প্রশাসন, ঢাকার কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, জনাব মির্জা আজিম হায়দার, কর্মসূচি কর্মকর্তা, এএলআরডি। তিনি NGO Portal তৈরি এবং online application এর মাধ্যমে সরাসরি অফিসে না গিয়েও নিবন্ধন প্রাপ্তির বিষয়কে প্রশাসনের সফলতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এবং সংগঠন এর ছাড়পত্র , এনজিও ব্যুরোর ক্লিয়ারেন্সসমূহ দ্রুত প্রাপ্তির মাধ্যমে তাদের কাজের ধারাবাহিকতা ও গতিশীলতা বৃদ্ধিতে জেলা প্রশাসন এর সহায়তা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথি জনাব হাফিজুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক), তার বক্তব্যে বলেন, ঢাকা জেলায় কার্যক্রম পরিচালনাকারী সকল এনজিও কে একটি প্ল্যাটফর্মে এনে সেবাপ্রদান প্রক্রিয়াকে সহজতর করার বিষয়ে গুরত্বারোপ করেন। পাশাপাশি কাজের গতিশীলতা বাড়াতে এনজিও পরিষদকে একটি সংযোগ সেতু হিসেবে কাজ করে সবার সমস্যাগুলো তুলে ধরে তা সমাধানের আহবান জানান।
প্রধান অতিথি ঢাকা জেলার জেলা প্রশাসক জনাব মোহাম্মদ মমিনুর রহমান তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যে বলেন, সবার সহযোগিতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে জিও (GO) এবং এনজিও (NGO) সমূহের মধ্যে সমন্বয় বাড়িয়ে “ঢাকা মডেল” নামে একটি মডেল তৈরির আহবান জানান, যেখানে এনজিও গুলো তাদের সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের জন্য ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করে কাজের গতিকে বেগবান করতে পারবে।
এরপর মুক্ত আলোচনায় বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিগণ তাদের সমস্যা এবং চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। বক্তারা এনজিও সমূহের সাথে প্রশাসনের মাসিক মিটিং-এর জন্য জুম মিটিং এর ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি, এনজিও পোর্টালের সংশোধনী, ছাড়পত্র প্রাপ্তি সহজীকরণ, নিবন্ধন দ্রুতকরণ, ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষা ও চিকিৎসার ক্ষেত্রে পিতামাতার পরিচয়, লিগ্যাল এইড সেবা দ্রুত প্রাপ্তির জন্য প্রশাসনের সহায়তা প্রার্থনা করেন।
আলোচনা শেষে প্রধান অতিথি এনজিও গুলোকে কাজের ভিত্তিতে ক্লাস্টারিং (Clustering) করার কথা বলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিটি এনজিও থেকে ০৩(তিন) জন নিয়ে একটি সেচ্ছাসেবক দল গঠনের প্রস্তাব করেন যারা যে কোন দুর্যোগে কুইক রেসপন্স টিম (Quick Response Team) হিসেবে কাজ করবে।পাশাপাশি তিনি জেলা প্রশাসনের সাথে সাথে প্রতিটি এনজিও থেকে একজন বা দু’জন হতদরিদ্র মানুষকে ঈদের বাজার উপহার দেওয়া, বৃক্ষরোপণ আয়োজন এবং সকল এনজিওর সমন্বয়ে একটি ফান্ড গঠন করে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণসহ এধরণের মানবিক কাজে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সবশেষে তিনি জঙ্গীবাদ, উগ্রবাদকে প্রতিহত করে নিজের বিবেকবোধকে জাগ্রত করে দেশব্যাপী উন্নয়নের ধারা্ অব্যাহত রাখার জন্য সকলকে একত্রে কাজ করার আহবান জানান।
Leave a Reply