টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
রমজান শুরু হয়েছে একদিন আগেই। তাই নতুন চাঁদ দেখার কৌতূহল-হুড়োহুড়ি, কোনটাই নেই।তবুও প্রথম রমজানের ইফতার শেষ হতেই বাসার ছাদে কিংবা গলির মোড়ে, সব জায়গাতেই চাঁদ দেখার এক অদ্ভুত ভিড় জমতে দেখা গেল।
আর আকাশে দেখা গেল চাঁদের অদ্ভুত এক দৃশ্য! দ্বিতীয় রমজানের একফালি চাঁদের ঠিক নিচে জ্বলজ্বল করছে আরেকটি আলোকবিন্দু! হারের নিচে থাকা লকেটের মতো! ঠিক যেন চন্দ্রহার!
শুক্রবার (২৪ মার্চ) দেশের আকাশে এমনই এক অদ্ভুত বিস্ময়কর সুন্দর চাঁদ দেখা গেল।কেউ সেই চাঁদের ছবি তুলতে ব্যস্ত, তো কেউ আবার ফেসবুক লাইভে ব্যস্ত! এ যেন এক অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার!
আসলে, একফালি এই চাঁদের ঠিক নিচে অবস্থান করছিল একটি উজ্বল তারা। আর এই দুয়ে মিলে যেন তৈরি হয়েছে লকেটযুক্ত চন্দ্রহার! অনেকটা আরবি ‘বা’ হরফের রূপ ধারণ করেছিল।যা দেখতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় ভিড় করে এবং ফেসবুকে পড়ে যায় কৌতূহলী পোস্টের হিড়িক।
টাঙ্গাইল শহরের কালিপুর এলাকার বাসিন্দা শিক্ষক আমিন মুঠোফোনে বলেন, এমন অদ্ভুত চাঁদ আমরা কখনোই দেখিনি। তাই সবাইকে নিয়ে বাসার ছাদে আরবি ‘বা’ অক্ষরের মতো এই চাঁদ দেখছি।
পৌরসভার বাসিন্দা হুমায়ূন কবির জানান, ফেসবুকে চাঁদের এমন ছবি দেখে ঈদগাহ মাঠে আসি। এসে দেখলাম হাজারো মানুষের ভিড়, চাঁদ নিয়ে নানা কৌতূহল!
আদালত পাড়ার মেহেদি হসান অন্তর বলেন, বিড়ল এ দৃশ্য উপভোগ করতে স্ত্রী সন্তান নিয়ে মাঠে চলে এসেছি। এমন একটা ঘটনার সাক্ষী হতে পেরে খুব গর্বিত লাগছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত দ্বিতীয় রমজানের চাঁদের ঠিক নিচ বরাবর শুক্র গ্রহের অবস্থানের কারণেই এই দৃশ্যকে এমন অদ্ভুত লেগেছে।
শুক্র গ্রহকে অনেকেই পৃথিবীর ‘বোন গ্রহ’ বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। কারণ, বিজ্ঞানীদের গবেষণা অনুযায়ী, পৃথিবী এবং শুক্রের মধ্যে গাঠণিক উপাদান এবং আচার-আচরণে বেশ মিল রয়েছে।
এই গ্রহটি যখন সকাল বেলায় পৃথিবীর আকাশে দেখা যায় তখন, একে লুসিফার বা শয়তান নামেও ডাকা হয়ে থাকে। বাংলায় সকালের আকাশে একে শুকতারা এবং সন্ধ্যার আকাশে একে সন্ধ্যাতারা বলে ডাকা হয়ে থাকে।
Leave a Reply