টাঙ্গাইলে ভুল চিকিৎসায় মনোরঞ্জন দাস (৪৫) নামে এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল পৌর শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সোনিয়া নার্সিং হোম ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। মনোরঞ্জন দাস (৪৫) দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের সোরা দাসের ছেলে।
জানা গেছে, মনোরঞ্জন দাস গত ৪ দিন যাবত জ্বরে ভুগছিলেন। শনিবার সকালে চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে আনা হয় তাকে। সেখানে এক দালালের মাধ্যমে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোনিয়া নার্সিং হোমে তাকে ভর্তি করেন স্বজনরা। নিয়ম অনুযায়ী ইসিজি ও ডায়বেটিস টেস্ট করানো হয় তার।
এছাড়া রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মনিরুল ইসলাম রোগীকে ইনজেকশক পুশ করেন। ইনজেকশক দেওয়ার পরপরই রোগীর শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে যায় ও অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে ডাক্তার এক্সরের জন্য রোগীকে রুমে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
মৃতের শ্যালক বৃন্দাবন ও ভাতিজা জয় দাস বলেন, মনোরঞ্জনকে প্রথমে টাঙ্গাইল জেলারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন তারা। সেখানে ডাক্তার আসতে দেরি হওয়ায় এক দালালের মাধ্যমে সোনিয়া নার্সিং হোমে নিয়ে যান। ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মনিরুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা শুরু হয়। ডাক্তার ইনজেকশন পুশ করার পরপরই রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়।
তারা আরও বলেন, বিষয়টি ডাক্তারকে জানালে রোগীকে এক্সরে করার জন্য রুমে নেন, সেখানেই মনোরঞ্জনের মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পরে তার ব্যবস্থাপত্রে ঢাকায় রেফার্ড লিখে দেন ডাক্তার। ডা. মনিরুল ইসলামের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় নার্সিং হোমের কর্মচারীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
সোনিয়া নার্সিং হোমের ম্যানেজার বাবুল সরকার বলেন, গত চারদিন যাবত জ্বর থাকায় রোগীর প্রেসার কমে যায়। এ কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ভুল চিকিৎসার জন্য মৃত্যু হয়েছে, এটা সঠিক নয়। রোগীর স্বজনদের ওপর চড়াও হওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে সোনিয়া নার্সিং হোমের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, রোগীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ক্লিনিকে আনা হয়। রোগীর প্রেসার কমে যাওয়ায় তাকে ঢাকায় রেফার্ড করি। রেফার্ড করার পর মৃত্যু হলে আমি কী করবো।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া একাধিকবার মোবাইল করা হলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply