1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব - দৈনিক আমার সময়

গ্রাহকদের জন্য মানসম্পন্ন সংযোগ ও তরঙ্গের সুষম বণ্টন জরুরি: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

নিজস্ব প্রতিবেদক
    প্রকাশিত : বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

সম্প্রতি, বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় ও প্রতিষ্ঠানটির অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার পরিদর্শন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
পরিদর্শনকালে তিনি সত্যিকার অর্থেই কানেক্টেড ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তোলার লক্ষ্য অর্জনে সাব-১ গিগাহার্টজ লো ব্যান্ড স্পেক্ট্রামের সর্বোত্তম বরাদ্দ প্রক্রিয়া ও সমতাপূর্ণ বন্টনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যার মাধ্যমে দেশের নাগরিকেরা নির্ভরযোগ্য ও সাশ্রয়ী কানেক্টিভিটি সেবা উপভোগ করতে পারবেন। পাশাপাশি, গ্রামীণ এলাকায় ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ড নেটওয়ার্ক কভারেজ বিস্তৃত করা, নেটওয়ার্ক জ্যাম কমিয়ে আনা এবং দেশের সকল টেলিকম অপারেটরের জন্য সমান সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতে কৌশলগত পরিকল্পনার ওপরও জোর দেন তিনি। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশজুড়ে উচ্চমানের ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
পরিদর্শনকালে তার সাথে বাংলালিংকের প্রতিনিধিদের একটি ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় গ্রাহক-কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উন্নত সংযোগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর বিভিন্ন উদ্ভাবন নিয়ে কীভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং গ্রাহকদের ডিজিটাল ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রযাত্রাকে তরান্বিত করছে তা তুলে উঠে আসে।
বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার এবং কোয়ালিটি অব সার্ভিস (কিউওএস) শক্তিশালী করা, ইন্টারনেটের গতি বাড়ানো ও দেশজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে নেটওয়ার্কের আধুনিকায়ন ও সেবার মান বৃদ্ধিতে চলমান বিনিয়োগ কার্যক্রম উপস্থাপন করে। সরকারের ডিজিটালাইজেশনের লক্ষ্য এগিয়ে নিতে দেশের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনের মানোন্নয়নে ডিজিটাল ও আর্থিক সেবা সম্প্রসারণেও বাংলালিংকের গৃহীত উদ্যোগগুলোর ওপরে এ সময়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য নেয়া পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা করেন। স্পেকট্রামের কার্যকারিতা বাড়নো, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা ও সকল গ্রাহকের জন্য উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী ইওহান বুসে বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমাদের যে মূল্যবান পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা এর সাধুবাদ জানাই। তিনি লো ব্যান্ড স্পেকট্রাম এবং ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের সুষ্ঠু ও সমতাপূর্ণ বণ্টনের ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছেন তা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য উচ্চমান সম্পন্ন নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বব্যাপী ‘ডিজিটাল ডিভিডেন্ড ব্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃত এ স্পেকট্রাম গ্রামীণ সংযোগ সম্প্রসারণ, কভারেজ বৃদ্ধি ও নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স উন্নত করার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। এর সুফল উন্মোচন করা গেলে অপারেটররা আরও উন্নত ডিজিটাল অভিজ্ঞতা প্রদান করতে পারবে এবং সত্যিকার অর্থে কানেক্টেড বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দেশকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।”

বাংলালিংক সম্পর্কে:
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক দেশের মানুষের ক্ষমতায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ‘ডিজিটাল ফর অল’ লক্ষ্য নিয়ে গ্রাহকদের জন্য বিস্তৃত পরিসরে ডিজিটাল সেবা নিশ্চিত করছে প্রতিষ্ঠানটি। বাংলালিংকের সেবার পোর্টফোলিওতে রয়েছে: টেলকো-অ্যাগনোস্টিক সুপার অ্যাপ মাইবিএল, বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি ও দেশের প্রথম এআই-নির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাকেজ রাইজ। নাসডাকের তালিকাভুক্ত বৈশ্বিক ডিজিটাল অপারেটর ভিওন লিমিটেডের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ আগামী নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ভিওন সম্পর্কে:
১৫ কোটির বেশি গ্রাহককে কানেক্টিভিটি সেবা ও প্রায় ১২ কোটি মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীদের সেবা প্রদান করছে ডিজিটাল অপারেটর ভিওন। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৬ শতাংশেরও বেশি বসবাস করে এমন পাঁচটি দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে ভিওন। প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তিনির্ভর সেবা প্রদান করে মানুষের ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার রূপান্তরে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। নাসডাকে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান ভিওন সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন: http://www.veon.com।

স্কয়ার গ্রুপ সম্পর্কে:
স্কয়ার গ্রুপ বাংলাদেশের একটি বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী, যা ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওষুধ কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করলেও পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন খাতে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা সম্প্রসারিত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ওষুধ, স্বাস্থ্যসেবা, বস্ত্র, খাদ্য, প্রসাধনী ও তথ্যপ্রযুক্তি। ব্যবসা সম্প্রসারণের ধারাবাহিকতায় গ্রুপটি এখন একটি বহুজাতিক শিল্পগোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমানে কয়েক হাজারের বেশী কর্মী কাজ করছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com