গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ি ভাঙচুর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৫ মে) সকাল ১০টায় উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন শিবপুর নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল হাসান তুহিন বলেন, গত ২৫ এপ্রিল জাঙ্গালিয়া গ্রামে আমার চাচাতো ভাই আলম মোল্যার বাড়িতে আমার ছোট চাচা আনোয়ার হোসেন লোকজন নিয়ে জমি মাপার বিষয় কথা বলতে ছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম কালু ও তার ভাই যুবদলকর্মী রেজাউল করিম উজ্জ্বল লোকজন নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। তারা আমার চাচার সাথে উগ্র ভাষায় কথা বলতে থাকেন। তারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাচ্ছে বুঝতে পেরে আমার চাচা সেখান থেকে চলে যান। খবর পেয়ে আমি এবং ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ স্বাভাবিক করে চলে আসতে ছিলাম।
পূর্বপরিকল্পিতভাবে পিছন থেকে জাহাঙ্গীর আলম কালু আমাকে ডেকে ফেরায়। এক পর্যায় তারা সংঘবদ্ধ হয়ে রামদা, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা বীরমুক্তিযোদ্ধা মোকাম্মেল হোসেনের বাড়িসহ তিনটি বসতবাড়ি ভাংচুর করে। এসব ঘরে রক্ষিত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র নিয়ে যায়। খবর পেয়ে কাশিয়ানী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে বাঁধা দিলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। যে কারণে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনার সাথে জড়িতরা উল্টো আমার লোকজনের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানী করছে।
তিনি আরও বলেন, ২৮ এপ্রিল আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই পুলিশ কর্মকর্তা মাঈনুল হাসান এবং আমার লোকজনকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে যে সব তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সম্পন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ঘটনা আড়াল করতে আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই এবং থানা পুলিশকে দোষারোপ করা হচ্ছে। আমার চাচাতো ভাই এলাকার কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাম্মেল হোসেন, মোসলেম মোল্যা, আকরামুজ্জামান, আনোয়ার হোসেন, আশরাফ মোল্যা, সায়েত মোল্যা, জামাল হোসেনসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
Leave a Reply