২৮ এপ্রিল শুক্রবার বিকাল ৫ টার দিকে জাহিদ এবং সিয়াম নামে দু,জন ব্যক্তি সাংবাদিকদেরকে জানান আমরা সিফাত ফার্মেসি থেকে কিছু ঔষধ ক্রয় করি, আমাদের সন্দেহ হলে আমরা পাশের ফার্মেসীগুলোতে যাছাই করে দেখি ৩৫০ টাকার ঔষধ ৬২০ টাকা নিয়েছে,২২০০ টাকার ঔষধ ৩৮০০ টাকা নিয়েছে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই এই অন্যায়ের বিচার চাই যাতে আমাদের মত অন্য কোন রুগীকে এরকম হয়রানি হতে না হয়,তাদের কাছে থাকা ক্যাশমেমো নিয়ে তথ্য যাচাই করতে উত্তরা প্রেস ক্লাবের সদস্য কয়েকজন সাংবাদিক সাথে নিয়ে সিফাত ফার্মেসিতে গেলে দেখা যায় কয়েকজন লোকের সাথে সালমা নামের মহিলার কথা কাটাকাটি হচ্ছে কি হয়েছে জানতে চাইলে উপস্থিত লোকজন বলে আল-আমিন নামের একজন কিছু চোরাই ঔষধ সিফাত ফার্মেসির নিকট বিক্রি করেছেন,ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে,
অতিরিক্ত মূল্যে ঔষধ বিক্রির বিষয়ে দোকান মালিকের সাথে কথা বলতে চাইলে সালমা নিজেকে প্রথমে দোকান মালিক দাবি করলেও পরে বলেন তার স্বামী স্বপন দোকানের
মালিক তিনি মেডিকেলের নার্স হিসেবে চাকরি করেন,স্বপনের মোবাইল নাম্বার চাইলে তিনি বলেন উনি অসুস্থ আমার সাথে কথা বলেন, মেমো দেখিয়ে ঔষধের দাম জানতে চাইলে তিনি প্রথমে উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদেরকে বেঁধে রাখার হুমকি দামকি দিয়ে একপর্যায়ে বলেন ৩৫০ টাকার ঔষধ৬২০ টাকা বিক্রি করেছে,২২০০ টাকার ঔষধ ৩৮০০ টাকা বিক্রি করেছে কেন এমন করেন জানতে চাইলে বলেন ভিতর থেকে নার্সেরা স্লিপ লিখে দেয়,কারা লিখে দেয় নাম বলেন,তিনি বলেন,আমিও দেই অন্যরাও দেয়,আমাকে টাকা দেয় সবাইকে টাকা দেয় সবাই লেখে তখন আমাদেরকে বেশী দামে বিক্রি করতে হয়, তিনি আরো বলেন আমরা সুজনের মাল বিক্রি করি সেটার দাম ৩২০০ টাকা, তাহলে ৩৮০০ টাকা কেন বিক্রি করলেন এর কোন জবাব দেননি, সুজন কে? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন রাস্তার সুজন রাস্তায় থাকে, এই সুজনই আমার দোকানের ক্ষতি করার জন্য এমন করছে। শুধু তাই নয় ইন্ডিয়ান ইনজেকশন ডোভাসটাট বিক্রি করছেন যাহা ঔষধ প্রশাসন কর্তৃক অননুমোদিত এবং নিষিদ্ধ প্যথিডিন বিক্রির অভিযোগও রয়েছে এই সিফাত ফার্মেসির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে ট্রেড লাইসেন্স নেই, এবং রাজউকের আবাসিক প্লটে অবৈধ ভাবে বানিজ্যিক ব্যাবসা পরিচালনা করছেন তারা।
জনৈক পপি বলেন আমি কিছুদিন আগে চিকিৎসা নিতে এসে দেখেছি সালমা স্লিপ লিখে বলে সিফাত ফার্মেসিতে যান আমার নাম বলবেন,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন এটেন্ডন্ট,দুজন সিকিউরিটি গার্ড একজন টেকনিশিয়ান বলেন সালমার স্লিপ এবং অতিরিক্ত মূল্যে ঔষধ বিক্রির মত জঘন্য কাজে আমরা সহযোগিতা না করায় আমাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে আমাদের চাকরি খেয়ে দেয়াসহ নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
সিফাত ফার্মেসিতে কাজ করা ভুক্তভোগী জলিল বলেন আমি তাদের ওখানে ছিলাম আমি চাকুরী ছাড়ার কারনে আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দেয় সিফাত ফার্মেসির মালিক স্বপন ও তার স্ত্রী সালমা আক্তার এবং উত্তরা কোথায় চাকরি করি আমাকে দেখে নেবে বলেও হুমকি দিয়েছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের ইসিজি টেকনিশিয়ান আকরাম জানান বাহিরে ঔষধ বিক্রি করার সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক নেই, এটি যার যার ব্যক্তিগত ব্যাপার, ভিতর থেকে স্লিপ দিয়ে কোন ঔষধ লেখা হয় বলে আমার জানা নেই , একসময় কমিশন ভিত্তিক জনৈক সুজন নামে একজন টাকা দিয়ে এগুলো করাতো এখন নেই। আর সাংবাদিকরা যে কোন জায়গায় তথ্য নিতে যাবে এটা স্বাভাবিক আপনাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে এটা দুঃখ জনক, আমি এবিষয়ে কথা বলবো।
ট্রেড লাইসেন্স বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জুলকারনাইন বলেন রবিবার যাচাই বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আধুনিক হসপিটালের মেট্রন নার্স ইনচার্জ রোকেয়া বলেন একটা প্রতিপক্ষ আছে যারা আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে এমনটা করতে পারে, তবে আমাদের কিছু নার্স আছে যারা এধরনের স্লিপ লিখে, আর সাংবাদিকদেরকে খারাপ ব্যবহার করেছে তাকে এজন্য অবশ্যই সরি বলতে হবে।
এবিষয়ে উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কো- চেয়ারম্যান সিদ্দিক উল্যাহ বলেন আপনারা যা তথ্য পেয়েছেন প্রকাশ করে আমাকে কপি দেন,আমি দেখে ব্যবস্থা নিবো।
(চলমান পর্ব ১)
Leave a Reply