1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. : admin :
অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে : তথ্যমন্ত্রী    - দৈনিক আমার সময়

অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচার হবে : তথ্যমন্ত্রী   

অনলাইন ডেস্ক
    প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ২০১৩-১৪-১৫ সালে বিএনপি-জামাতের নেতাদের নির্দেশে সন্ত্রাসীরা রাজনৈতিক দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অবরোধের সময় যেভাবে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তা শুধু দেশের ইতিহাসেই নয়, পৃথিবীর রাজনৈতিক ইতিহাসে সমসাময়িককালে কোথাও ঘটেনি।’
 
তিনি বলেন, শুধু যারা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করেছে, তাদের বিচার হলেই হবে না, যারা এর হুকুমদাতা-অর্থদাতা, তাদেরও বিচার হতে হবে। এবং এই অপরাধের যদি বিচার না হয় তাহলে এ ধরনের অপরাধ আরও ঘটবে।
 
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ’ সংগঠন আয়োজিত ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাসী ও হুকুমদাতাদের বিচারের দাবিতে প্রতিকী অনশন’ শীর্ষক কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। 
 
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাসীরা ২০১৩-১৪-১৫ সালে অসহায় মানুষের ওপর, স্কুলগামী বালক-বালিকার ওপর, বিশ্ব ইজতেমা থেকে ফেরত মানুষের ওপর, বাসযাত্রীদের ওপর, অবরোধের কারণে থেমে থাকা ট্রাকে ঘুমন্ত চালকের ওপর পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে তাদের শরীর অঙ্গার করে দিয়েছে, মানবতাকে ভুলুন্ঠিত করেছে। 
 
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শুধু পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীরাই অপরাধী নয়, এর নির্দেশ সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে লন্ডন থেকে এসেছে। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, গয়েশ্বর রায় বাবু, মির্জা আব্বাসসহ বিএনপির নেতারাই এই হামলার নির্দেশদাতা। তাদের নির্দেশে, তাদের অর্থায়নেই এই পেট্রোল বোমা হামলা পরিচালনা করা হয়েছে। আজকে সেই পেট্রোল বোমা হামলার শিকার যারা, তারা বিচারের দাবি নিয়ে এসেছে। মির্জা ফখরুল সাহেব বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু তার দলের নেতৃত্বে যে অপরাধ হয়েছে, তার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। সব অপরাধীরই বিচার হতে হবে।’ 
 
তিনি বলেন, অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার এই খেটে খাওয়া মানুষগুলো এ দেশের নাগরিক ও মালিক। তারা রাজনীতি করে না, রাজনীতি বোঝে না এবং তারা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও যায়নি, প্রাত্যহিক কাজে জীবিকার তাগিদে বেরিয়েছিল। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক মানবতাবিরোধী ঘটনা বিশ্বের কোথাও ঘটেনি। 
 
পেট্রোল বোমা হামলার শিকার ও তাদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি প্রয়োজন। তাই আমি মনে করি এই মামলাগুলো দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালের মাধ্যমে হওয়া প্রয়োজন এবং অগ্নিসন্ত্রাসের হুকুমদাতা, অর্থদাতাদেরও বিচারের আওতায় আনা উচিত। এই অপরাধের উপযুক্ত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবির সাথে আমি একাত্মতা প্রকাশ করছি।’
 
এ সময় বিদেশি সংস্থা, কূটনীতিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, যারা মানবাধিকারের কথা বলেন, তাদের উচিত এই অধিকার ক্ষুন্ন হওয়া মানুষগুলোর সাথে সংহতি জানানো। তাহলে এই ধরনের অপরাধ চিরতরে বন্ধ হওয়ার পথ সুগম হবে। 
 
পেট্রোলবোমা হামলায় আহত সংসদ সদস্য এড. খোদেজা নাসরিনের সভাপতিত্বে অগ্নিসন্ত্রাসের আর্তনাদ সংগঠনের আহবায়ক শাহাদাৎ হোসেন বাবুলের সঞ্চালনায় ও মো: রাশেদুল ইসলামের সমন্বয়ে পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ গীতা রাণী সেন, নিহত নাহিদের মাতা রুনি বেগম, নিহত ইউসুফের সন্তান জাহেদুল ইসলাম, নিহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী পারভীন, নিহত পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থের পিতা বিমল চন্দ্র সরকারসহ পেট্রোলবোমা হামলার শিকার প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ কর্মসূচিতে অপরাধীদের বিচার দাবি করে মর্মস্পর্শী বক্তব্য দেন।
 
পেট্রোলবোমায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আআমস আরেফিন সিদ্দিক, ঢাবি সমাজ কল্যাণ অনুষদের ডিন জিয়া রহমান, আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, একুশে টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী পীযুষ বন্দোপাধ্যায়, ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর প্রমুখ।
 
কর্মসূচিতে আগত পেট্রোলবোমায় আহত ও নিহতদের স্বজনদের পানি পান করিয়ে তাদের অনশন ভঙ্গ করান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com