জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর বনানী এলাকায় মো. শাহজাহান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার শুনানিতে আদালতে ওঠানোর সময় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সব কিছুরই শেষ আছে। গতকাল বুধবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই ইয়াছির আরাফাত গত ২৫ সেপ্টেম্বর সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, গোলাম দস্তগীর গাজী, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম এবং জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন গতকাল বুধবার ধার্য করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিয়ে ১০ টা ৫৫ মিনিটের দিকে আসামিদের এজলাসে তোলা হয়। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, সব কিছুরই শেষ আছে। আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে পলক তার আইনজীবী তরিকুল ইসলামের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। এরপর তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম সাদেকুর রহমান তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। ১১টা ২৪ মিনিটের দিকে তাদের এজলাস থেকে নামিয়ে আবার হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পলকের আইনজীবী তরিকুল ইসলাম বলেন, পলক সাহেব তার মামলার বিষয়ে আলাপ করেছেন। সাবেক মন্ত্রী নূরুল মজিদের চিকিৎসার অভাবে মারা যাওয়া এবং দীপু মনির সঠিক ট্রিটমেন্ট না হওয়ার বিষয়ে কথা বলেন। তবে তিনি সুস্থ আছেন বলে জানিয়েছেন। বিচলিত নন, যেকোনো সময়ে যেকোনো বিষয় ফেস করার জন্য প্রস্তুত আছেন। সব কিছুরই শেষ আছে একথার মাধ্যমে পলক কি বুঝাতে চেয়েছেন জানতে চাইলে তরিকুল ইসলাম বলেন, তখন আমি তার সঙ্গে ছিলাম না। তবে হয়তো তিনি বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলে থাকতে পারেন। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গতবছরের ১৯ জুলাই ঢাকার একটি কারখানার কর্মী মো. শাহজাহান মহাখালী ফ্লাইওভারের নিচে শান্তিপূর্ণ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মিছিলে গুলিবর্ষণ করে। এসময় শাহজাহান বুকে ও পেটে দুইটি গুলিবিদ্ধ হন। চার দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর নিহতের মা সাজেদা বনানী থানায় ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
Leave a Reply