গাজীপুরের শ্রীপুরে জমিতে ব্যবহারের জন্য ঘরে রাখা তরল কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন আম্বিয়া খাতুন নামে এক কিশোরী।
বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) মধ্যরাতে রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরআগে, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কীটনাশক পান করে সে।
নিহত আম্বিয়া খাতুন (১৪) গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের পটকা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদের মেয়ে। তবে, কেন সে আত্মহত্যা করেছে তা বুঝতে পারছে না পরিবারের সদস্যরা।
পরিবারের সদস্যরা জানান,’ বুধবার রাতে আম্বিয়া ঘরে রাখা জমিতে দেওয়ার কীটনাশক পান করেন। বিষয়টি টের পেয়ে দ্রুত তাকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই রাত সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
আম্বিয়ার ভাই মনির হোসেন বলেন,জমিতে দেওয়ার জন্য ঘরে রাখা কীটনাশক পান করে তার বোন। বুঝতে পেরে তারা দ্রুত শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাঁচানো যায়নি।’
গোসিংগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) ফারুক মিয়া বলেন,’ ওই কিশোরীর কীটনাশক পানের বিষয়টি রাতে আমাকে ফোনে জানিয়েছে। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেছিলাম। রাতে নাকি মারা গেছে।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ বলরাম বলেন” রাত সাড়ে দশটার দিকে ওই রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থা খারাপ দেখে দ্রুত ময়মনসিংহে পাঠানো হয়।”
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল বারিক বলেন, “ এমন কোনো ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য পাইনি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কারো কোনো অভিযোগ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ”
Leave a Reply