ময়মনসিংহ সদর উপজেলার ময়মনসিংহ-পরাণগঞ্জ সড়কের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ৪ কিলোমিটার সড়ক চরাঞ্চলের মানুষের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। ৪ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে রয়েছে খানাখন্দ ও ছোট বড় গর্ত, ফলে সড়কটি এখন ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ এই সড়কের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। সড়কটি ময়মনসিংহ শম্ভুগঞ্জ পশ্চিম বাজার থেকে জয়বাংলা বাজার হয়ে চরখরিচা বাজার দিয়ে পরানগঞ্জ বাজার হয়ে বোররচর কাচারি বাজার মিলিত হয়েছে। এই সড়কটি দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার। যা ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরঈশ্বরদিয়া, সিরতা, জয়বাংলা বাজার, চরখরিচা বাজার,পরাণগঞ্জ ও বোররচর চরাঞ্চল বাসীর যানবাহনে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এই ২০ কিলোমিটার সড়কের কাজ ২০২২ শুরু হয়। সরকারের ৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যায়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের এই কাজ পেয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাদিয়া অ্যান্ড সাদিয়া এন্টারপ্রাইজ।
ইটের শুড়কি ফেলে সংস্কার কাজ শুরুর পরই লাপাত্তা হয়ে ঠিকাদার। ফলে ৩ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সড়কের সংস্কার কাজ। যার মধ্যে কালা কুঁড়ের পাড় থেকে খরিচা পর্যন্ত এই ৪ কিলোমিটার সড়ক চরাঞ্চল বাসীর দুর্ভোগের অন্যতম কারণ। বর্ষার কারণে এই সড়কের কোথাও কোথাও ভেঙে গিয়ে পাশের জমিতে মিশে গেছে। মাঝপথে সড়কের বেহাল দশার কারণে সিএনজি, অটোরিকশা ছোট বড় সকল যানবাহনের যাত্রীদের অসহনীয় করে তুলেছে। চরাঞ্চলের সবজি ও কৃষি পণ্য সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। ভাঙ্গা রাস্তাঘাটের কারণে বেড়েছে পরিবহন খরচ। প্রতিনিয়ত খানাখন্দে পড়ে রাস্তার উপর বিকল হচ্ছে নানা যানবাহন। প্রসূতি সহ জরুরী রোগীদের ময়মনসিংহ হাসপাতালে নেয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই সড়কে মাল পরিবহনকারী ট্রাক ড্রাইভার মিলন বলেন, এ রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তায় বড় বড় গর্ত হওয়ার কারণে গাড়ি ফেসে যায়। তিনি এই এলাকার মানুষের ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে দ্রুত রাস্তাটি সংস্থার করার দাবি জানান।
অটোরিকশা চালক মজিদ মিয়া বলেন, এ রাস্তা দিয়ে অটোরিকশা যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে অনেক কষ্ট হয়। রাস্তায় বড় বড় গর্তের কারণে প্রায় যাত্রী সহ উল্টে যায়। এতে অনেক যাত্রী গুরুতর আহত হয় এবং হাত-পা ভাঙ্গে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল করতে হয়। তাই এই রাস্তা তথ্য সংস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
চরখরিচা বাজারের ব্যবসায়ী আজাহারুল ইসলাম বলেন, এই সড়কটির বড় বড় গর্তের কারণে ময়মনসিংহ শহর থেকে মালপত্র আনতে অনেক কষ্ট হয়, গাড়ি আসতে চায় না, অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে মাল আনতে হয়, ফলে আমাদের পরিবহন খরচ বেড়ে যায়। এ রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন এই ব্যবসায়ী।
এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের দুর্ভোগের কারণ স্বীকার করে ময়মনসিংহ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সালমান রহমান রাসেল বলেন, এই সড়কটির সংস্কারের জন্য দ্রুততম সময়ে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছি।
Leave a Reply