জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নে যমুনা নদীর শাখা কাটাখালি নদীতে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। অসময়ের এই নদীভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদী পাড়ের শতাধিক পরিবার। প্রতিদিনই নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা, ফসলি জমি, গাছপালা ও জীবিকার অবলম্বন।
গত কয়েক দিনের টানা ভাঙনে বহু পরিবার ইতোমধ্যে ঘরবাড়ি ও চাষযোগ্য জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, নদীর পানি কমে গেলেও ভাঙনের তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পুরো নদীতীরের মানুষ। শীতের আগমুহূর্তে এই অসময়ের ভাঙনে মানবিক বিপর্যয় নেমে এসেছে এলাকায়। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের দুর্ভোগ এখন চরমে।
চিনাডুলী গ্রামের কৃষক আবদুল মালেক বলেন,“ ভাঙনে আমার তিন বিঘা জমি আর বাড়ির অর্ধেক নদীতে চলে গেছে। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, সবই নদীতে মিলিয়ে যাবে।”
স্থানীয় শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম জানান,“ প্রতি বছরই ভাঙনের ভয় নিয়ে থাকতে হয়। কিন্তু এবার তো হঠাৎ অসময়ে এমন তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা চাই দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
এলাকার যুবক আব্দুল্লাহ আল সাকিব বলেন,“ হঠাৎ করেই নদীতে ভাঙন শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে বহু পরিবার নিঃস্ব। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”
চিনাডুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন,“ ভাঙনের খবর পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। দ্রুত বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
পানি উন্নয়ন বোর্ড, জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নকিবুজ্জামান খান জানান,“ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন,“ বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুতই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা জানান, যদি দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আরও অনেক ঘরবাড়ি ও জমি নদীগর্ভে হারিয়ে যাবে। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে।
Leave a Reply