র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা ও নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়া এলাকায় কতিপয় মাদক কারবারী বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। এমন গোয়েন্দা তথ্যের আলোকে ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ অনুমান ০৩.৪০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিএসসি’র একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টাকালে এক মহিলাসহ দুইজন মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিধি মোতাবেক আটককৃত ব্যক্তিদ্বয়ের দেহ ও সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে সর্বমোট ৩৩,০০০ (তেত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, মাদক বিক্রয়ের নগদ ৫৫,০০০/- (পঞ্চান্ন হাজার) টাকা, ০৩টি বাটন মোবাইল ফোন ও ০৪টি সীম কার্ড উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীদ্বয়ের বিস্তারিত পরিচয় ১। মোঃ জাহেদ হোসেন (৩৭), পিতা-মৃত মোহাম্মদ হোসেন, সাং-উনছিপ্রাং, ০৩নং ওয়ার্ড এবং ২। এলেম বাহার (৪৫), স্বামী-আব্দুল আজিজ, পিতা-সুরমা আহাম্মদ, মাতা-আসিমা খাতুন, সাং-পূর্ব মহেশখালীয়া পাড়া, ০৮নং ওয়ার্ড, উভয়ের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। এছাড়াও আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে পৌঁছানোর পূর্বেই আরো দুইজন মাদক কারবারী পালিয়ে যায় মর্মে ধৃত ব্যক্তিদ্বয় স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা এবং পলাতক মাদক কারবারীরা দীর্ঘ দিন যাবৎ পরষ্পর যোগসাজসে নানাবিধ অভিনব পন্থা অবলম্বন করে কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছে। মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে স্থানীয় এলাকায় বিক্রয়ের পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা বিক্রয় করে আসছিল বলে জানায়।
উদ্ধারকৃত আলামতসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।
Leave a Reply