মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন মাদক একটি ভয়ঙ্কর সামাজিক ব্যাধি। সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমেই মাদকের ব্যাপকতা রোধ করা সম্ভব। তিনি বলেন মাদক ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করে। তাই তাদরেকে ধরতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সচেতন নাগরিকদের আহ্বান জানাই। এজন্য বিভিন্ন স্কুল-কলেজে মাদকবিরোধী কমিটিসহ সামাজিক সংগঠনগুলোর মাদকবিরোধী তৎপরতা বৃদ্ধি করা দরকার। ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসনের সভাকক্ষে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে করণীয় শীর্ষক মাদকবিরোধী সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মাদকের ব্যবহার প্রতিরোধে কোনো কর্মকর্তা অসহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি দিয়ে মহাপরিচালক আরো বলেন মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যারা আমাদেরকে সহযোগিতা করবে তারা আমাদের বন্ধু। আর যারা মাদক ব্যবসায় ও সেবনে জড়িত এবং মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করে তারা আমাদের শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ চলমান থাকবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক পরিতোষ কুমার কুন্ডু। জেলা প্রশাসক বলেন বৈষম্যমুক্ত সমাজ গড়তে হলে যুব সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হবে। যুব সমাজকে মাদক সেবনের কুফল সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন বেকারত্বের কারণে অনেকে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সাথে জড়িয়ে যায়। তাই বেকারত্বের হার কমিয়ে আনলে মাদকসেবনকারীর সংখ্যা অনেকাংশে কমে যেতে পারে। তিনি আরো বলেন দায় চাপিয়ে না দিয়ে সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বরিশালকে মাদকমুক্ত করা সম্ভব। বৈষম্যের অবসানের সাথে সাথে মাদকেরও অবসান হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply