প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-১৪ জানান, মামলার রায় পর্যালোচনা এবং আসামীকে জিজ্ঞসাবাদে জানা যায় ফুলবাড়ীয়া থানার শ্রীপুর গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে ভিকটিম নিহত শাহজাহান (৫৫) ২য় বিয়ে করে একই থানার রাঙ্গামাটিয়া গ্রামে ২য় স্ত্রীয় নিয়ে বসবাস করতেন। ভিকটিম শাহজাহানের ২য় বিয়ে কে কেন্দ্র করে তার প্রথম স্ত্রী সাজেদা খাতুনের সাথে দীর্ঘদিন থেকে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। উক্ত দ্বন্দের জেরে সাজেদা খাতুন গ্রেফতারকৃত আসামী সেকান্দার আলীকে টাকার বিনিময়ে ভাড়া করে গত ০৫ আগস্ট ২০১৬ সালে ৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টায় ভিকটিমের বসবাসরত রাঙ্গামাটিয়ার বাড়ীতে কৌশলে প্রবেশ করে এলোপাতারি কুপিয়ে ভিকটিম শাহজাহানের হত্যা নিশ্চিত করে লাশ বাড়ীর পাশের একটি পুরাতন কূপের মধ্যে ফেলে ঘটনাস্থল হতে চলে যায়। উক্ত হত্যাকান্ড অন্যদিকে প্রভাহিত করার জন্য ভিকটিমের প্রথম স্ত্রী সাজেদা খাতুন নিজেই বাদী হয়ে ২য় স্ত্রী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। যাহা ফুলবাড়ীয়া থানার মামলা নং- ০৮(০৮)১৬, ধারা- ৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড। পরবর্তীতে দীর্ঘ তিন মাস তদন্ত শেষে জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করেন এবং ঘটনার সাথে জড়িত গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ সেকান্দার আলী’কে গ্রেফতার করেন। সেকান্দার আলীর দেওয়া তথ্য মতে ঘটনার তিন মাস পর ভিটিমের লাশ কূপ থেকে উত্তোলন করে ময়না তদন্তের ব্যবস্থা করেন এবং আসামী সেকান্দার আলী উক্ত হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে এই মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামী সেকান্দার আলীর বিরুদ্ধে দঃ বিঃ ৩০২ ধারার অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত গ্রেফতারকৃত আসামী সেকান্দার আলীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান এবং হত্যা করে লাশ গুম করার অপরাধে দঃ বিঃ ২০১ ধারা মোতাবেক বিজ্ঞ আদালত তাকে আরো ০৭ বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। আসামী জামিনে মুক্তি পেয়ে দীর্ঘ ০৭ (সাত) বছর যাবৎ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিজের পরিচয় গোপন করে গাঁ ঢাকা দিয়ে ছদ্মবেশে পালিয়ে ছিল।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।
Leave a Reply