1. admin@gmail.com : দৈনিক আমার সময় : দৈনিক আমার সময়
  2. admin@dailyamarsomoy.com : admin :
সাতক্ষীরা তরমুজের বাম্পার ফলন যাচ্ছে ঢাকায় - দৈনিক আমার সময়

সাতক্ষীরা তরমুজের বাম্পার ফলন যাচ্ছে ঢাকায়

সিরাজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
    প্রকাশিত : সোমবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৫

সাতক্ষীরায় তরমুজের বাম্পার ফলন সাতক্ষীরার গণ্ডি পার হয়ে তরমুজ যাচ্ছে এখন ঢাকায় ‍‍, বিশেষ করে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরপুর ইউনিয়ন এবং কৈখালী ইউনিয়নের তরমুজ দীর্ঘদিন ধরে সুনাম কিনেছে দেশের কাছে,। এজন্য মানুষ শুধু সাতক্ষীরা নয় ঢাকা সহ বিভিন্ন বাজারে গিয়ে সাতক্ষীরা ঈশ্বরীপুর ও কই। কৈখালীর‌।তরমুজ খুঁজে বেড়ান কৈখালী ও ঈশ্বরীপুরের ‍তরমুজের মান গুণগত মান স্বাদে গন্ধে অত্যন্ত জনপ্রিয় সে কারণে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ও কৈখালী ইউনিয়নের তরমুজের কদর দেশে অনেক বেশি ‍,, এবার সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলা সহ শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন ও ঈশ্বরীপুর ‌ইউনিয়নে তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। খোদ ঢাকা থেকে ‌পাইকারি পার্টিরা মাঠ থেকে তরমুজ কিনে ‍‌ ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ‍ নিয়ে যাচ্ছে, কৈখালী ইউনিয়নের তরমুজ চাষী আলাউদ্দিন এই প্রতিবেদককে বলেন তিনি এবার দুই বিঘা জমিতে সাদা জাতের তরমুজ চাষ করেছেন এবং তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে ঢাকা থেকে পাইকার পার্টিরা এসে ৩ লক্ষ টাকা দাম বলেছেন কিন্তু আলাউদ্দিনের দাম ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা হলে তিনি বিক্রি করে দেবেন। তিনি আরো জানান তার এ পর্যন্ত খরচ হয়েছেন ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা,, ঈশ্বরীপুর ইউনিয়নের ধুনঘাট গ্রামের আনসার আলী এই প্রতিবেদককে বলেন তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে সাদা ও কালো জাতের তরমুজ চাষ করেছেন ঢাকার পার্টিরা তিন লাখ টাকা দাম বলছেন আনসার আলী বলেন ৪ লাখ টাকার কমে তিনি বিক্রি করবেন না আনসার আলী এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা,, সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে প্রত্যেকটি তরমুজ চাষের ‌‌‌‌‌বাম্পার ফলন হয়েছে প্রত্যেক চাষিরা লক্ষ মাত্তার অধিক ‌‌লাভ করবেন বলে জানা গেছে ‍,, উপকূলীয় ‌জেলা সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় তরমুজ চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অল্প সময়ে বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এখন তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা। ফলন ভালো হওয়ায় দামেও বিক্রি করে খুশি কৃষকরা। জেলার মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে তরমুজের আবাদ।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে গত বছর জেলায় তরমুজের আবাদ হয় ৩১৫ হেক্টর জমিতে আর চলতি বছর আবাদ হয়েছে ৬১৮ হেক্টর জমিতে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম হওয়ায় অধিক লাভে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছে তরমুজ চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাতক্ষীরা জেলার মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে আবাদ।
আশাশুনি উপজেলার তরমুজ চাষি আফসার গাজী, মানবেন্দ্র ঢালী, মাখন লাল ঢালী বলেন, পুকুরের পানি সেচ দিয়ে পাশের জমিতে ফসল করা। এভাবে পতিত জমি চাষের আওতায় এনে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়। তরমুজের সাইজ ও সাদ খুবই ভাল। বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। বাজার প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
কৃষকরা জানান, অল্প খরচ ও পরিচর্যা করেই পাওয়া যাচ্ছে ভাল ফলন। দামও বেশি পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। তাদের দেখে এলাকার অনেক চাষি নতুন নতুন এলাকায় তরমুজ চাষ করছেন। লাভজনক হওয়ায় দিনদিন তরমুজের চাষা বেশি হচ্ছ জানান কৃষকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন
© All rights reserved © dailyamarsomoy.com