আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধান উপহার দিয়েছিলেন সেই সংবিধানে তিনি বলেছিলেন দুইটি জিনিস মৌলিক অধিকার হিসেবে রাষ্ট্র গ্যারান্টি দেয়। অনেকগুলো মৌলিক অধিকারের মধ্যে সেই দুটি মৌলিক অধিকার হলো বাক স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। জিয়াউর রহমান ও জিএম কাদের সাহেবের ভাই এরশাদ সাহেব এই দুটি মৌলিক অধিকারই নষ্ট করেছিলেন এবং সর্বনাশ করেছিলেন। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন এবং বাক স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাইবার সিকিউরিটি আইন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে করা হয়েছে জিএম কাদেরের এমন মন্তব্যের বিষয়য়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথঅ বলেন।
তিনি আরো বলেন, এরশাদ সাহেব ১৯৮২সালে মার্শাল ‘ল’ দিয়ে জনগনের কন্ঠ রোধ করেছিলেন। জনগনের অধিকার আদায়ের জন্য আওয়ামীলীগকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। শেখ হাসিনাকে কারাগার বরণ করতে হয়েছে। জি. এম. কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সাইবার ক্রাইম ধারাটি ভালোভাবে পড়ে দেখুন। গনমাধ্যমের কন্ঠরোধ করার মতো কোনো ধারা নেই। এরশাদ সরকার ও জিয়াউর রহমান দুজনেই মার্শাল ল দিয়ে এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার, বাক স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা ধংস করে গেছেন। শেখ হাসিনা সাংবাদিদের কল্যানে কাজ করছেন। যারা সাইবার ক্রাইম করে তাদের জন্য এই আইনটি করা হয়েছে।
খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসা প্রসংঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি আগেই মিমাংসিত হয়েছে। নতুন ভাবে এ ব্যাপারে কিছু করার নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতার কারনে খালেদা জিয়া দন্ডিত হওয়ার পরও তাকে শর্ত স্বাপেক্ষে দন্ড স্থগিত রেখে বাসায় থেকে যাবতীয় চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।
হাবিবুল ইসলাম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিতে¦ বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এডঃ রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিমুল এহসান খান, পৌর মেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী, উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি কাজী মোঃ আজহারুল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য এম. এ. আজিজ, সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবকসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুনামেন্ট ও জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুনামেন্ট খেলোয়ারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে তিনি উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের নোয়াগাও-চকবস্তা সড়ক উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করেন। বিকেলে উপজেলা সৈয়দাবাদ আদর্শ সরকারী মহাবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিতব্য আইনমন্ত্রীর পিতা মরহুম এডভোকেট সিরাজুল হক ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি মরহুম এবি সিদ্দিক স্মরণে ফেন্ডশীপ গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করবেন।
সকাল পৌনে এগারটায় ঢাকা থেকে আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশনে এসে পৌঁছেন। এসময় দলীয় নেতাকর্মীরা তাঁকে স্বাগত জানান। পরে তিনি সড়ক পথে নিজ নির্বাচনী এলাকা কসবা উপজেলার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।
Leave a Reply