দলীয় কার্যালয়ে অস্ত্র প্রদর্শনের কথা স্বীকার করে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য উপমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক বলেন, সরকার তামাশা দেখার জন্য আমাকে অস্ত্র দেয়নি, মুছে ঘরে রেখে দেবার জন্যও দেয়নি, নিরাপত্তার জন্য দিয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে ছেলেকে মারধরের খবর পেয়ে পিস্তল নিয়ে সেখানে যায়। তারা আমাকেও মারধর করতে পারে এই আশঙ্কায় আমি লাইসেন্স করা অস্ত্র প্রদর্শন করি।
গতকাল সোমবার দুপুরে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, শহরের স্টেশন রোডে সফি মিয়ার বাজার মোড়ে তাঁর বড় ছেলে বাবুর নামে থাকা একটি ঘর গত ২৮ বছর ধরে জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য তিনি বিনা ভাড়ায় দিয়েছেন। এ নিয়ে গত ১ এপ্রিল রাতে তার ছেলে ঘর মালিক ওই অফিসে কথা বলতে গেলে উপস্থিত সকলেই মারমুখী হয়ে উঠে। ছেলের জীবন বাঁচাতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে লাইসেন্সকৃত পিস্তল উঁচিযে তিনি ছেলেকে উদ্ধার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আমজাদ হোসেন মল্লিক ভোলা ও জেলা বিএনপির সদস্য শামীম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সিরাজুল হক ১৯৯১ সালে জামালপুর-৫ সদর আসনে ধানের শীষ নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই সময় তিনি স্বাস্থ্য উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
Leave a Reply