মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানাধীন বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত শ্রীধরপুর আলমপুর সড়কের পূর্বাচল মাঠের পূর্ব প্রান্ত হতে পূর্বহাটী গ্রাম পর্যন্ত ৯০০ মিটার পাকা রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছে নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর শ্রীনগর উপজেলার অধীনে। সরজমিনে দেখা যায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিজান এ্যান্ড ব্রাদার্স নিন্ম মানের ইট সুরকি দিয়ে নির্মাণ করে যচ্ছে রাস্তাটি। রাস্তা নির্মাণ কাজে এক নাম্বার পিকেট ইট ও একই ইটের সুরকি ব্যবহারের কথা থাকলেও তিন নাম্বার ইটের চেয়েও নিন্ম মানের ইট দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই বিষয়ে ঠিকাদারের রাস্তা নির্মাণ শ্রমিক দের নিকট জিজ্ঞাসাবাদে তাহারা জানায়, এখানে উপজেলা থেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার আসেন ঢালাইের কাজ শেষে দেখার জন্য। কি মেটেরিয়াল দিয়ে কাজ হয় তা ইঞ্জিনিয়ারের নলেজে আছে, আমরা কোম্পানির লোক আমাদেরকে যা দিয়ে কাজ করতে বলে আমরা তা দিয়েই করি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজ দেখতে আসে কিনা জানতে চাইলে শ্রমিকরা বলেন, আমরা এই কাজের ৩য় পর্যায়ের দল, আমরা এক মাস যাবৎ কাজ করে যাচ্ছি এযাবৎ চেয়ারম্যান কে আমরা আসতে দেখিনাই।
এবিষয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল বারিক এর নিকট জানাতে চাইলে তিনি অপরাধ সূত্রকে বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিজান এ্যান্ড ব্রাদার্সকে বারংবার নিন্ম মানের সামগ্রী ব্যবহার করতে নিষেধ করা সত্বেও তাহারা নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, আর একারণে কয়েক বার কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঠিকাদার আমাদের কথা শোনে না।
নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ সম্পর্কে নাম না প্রকাশের শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী জানায় এই নিন্ম মানের কাজ সম্পর্কে আমাদের কিছুই বলার নেই, প্রতিবাদ করে দেখেছি কাজ বন্ধ করে রাখে, সবমিলিয়ে আমাদেরই ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এবিষয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিজান এ্যান্ড ব্রাদার্সের স্বাধিকারী ছনবাড়ী নিবাসী মিজানের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে অপরাধ সূত্রকে বলেন, পুরাতন ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ করছি আমরা, সিডিউলে এই ইটের মূল্য কেটে নিয়ে ব্যায় ধরা হয়েছে তাই এই নিন্ম মানের ইট দিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। এর পরেও আমার অনেক আর্থিক লোকসান গুনতে হবে।
নিন্ম মানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ সম্পর্কে শ্রীনগর উপজেলা প্রকৌশলী মফিউল ইসলাম বলেন, আমি আপনার অভিযোগ খতিয়ে দেখবো এবং দায়ী প্রকৌশলী ও ঠিকাদরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
যে সকল নিন্ম মানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ করছে এর স্থায়িত্ব কাল একবছরে অধিক হবে কি না সন্দেহ পোষণ করছেন স্থানীয় গ্রামবাসী। তাহাদের মতে এ রাস্তা নির্মাণের নাম দিয়ে সরকারের টাকা অপচয় করা ও জনগনের দুর্ভোগ লাঘবের পরিবর্তে দুর্ভোগ বাড়ানোই উপজেলা পরিষদের কাজ। স্থানীয় বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এই দায় নিতে রাজি নয় বলে তিনি কাজের ভালো মন্দ দেখতে আসেন না বলেও গ্রামবাসী জানায়।
এবিষয়ে বাড়ৈখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ফারুক হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাহাকে পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply